চুপচাপ চাহনি না বলা ভাষা,
নিবিড় সে চোখে রহস্য আশা।
হঠাৎই ডুবে যাই নীরব সে জলে,
ভাবনারা কাঁপে এক অন্য ছলে।
পলকের চোরাবালিতে হারাই,
নিজেকেই খুঁজি কোথায় যে যাই!
অস্থির ঢেউয়ে মাতে শিরা-উপশিরা,
কূল ভাঙ্গে ভেঙ্গে যায় হৃদয় নীরা।
প্রেম যেন জেগে ওঠে আনন্দে,
বাজে বিণা শোকামনে সানন্দে।
কণ্ঠে বাক্য হারা ঠোঁটে নেই ছোঁয়া,
তবু সে চোখ স্নানে মুগ্ধতা ধোয়া।
দুনিয়া ফিকে শব্দ গলে যায়,
চোখ দুটো জুড়ে এক স্বপ্ন জন্মায়।
ছায়ার চেয়েও সে গভীরতর,
চাহনির রেখায় এক দুর্বোধ্য ঘর।
জীবন ছুটে যায় সময় গলে পড়ে,
আমি বসে থাকি তার চোখের তরে।
ভাবনারা ভাবে কোন সে প্রেমে টানে?
এ কি সত্যিই প্রেম নাকি হৃদয় হানে?
চোখ যেন জানে হারানো সব পথ,
আমার আগামীর আমার পরশ রথ।
তার চোখে দেখি কে ছিলাম আমি,
আর কেউ নয় সে আমার স্বামী।
বিষাদের মতো চিরচেনা ব্যথা,
চোখে তার বাজে এক অলিখিত কথা।
চোখেরই জগতে অলিখিত মানচিত্র,
ভাষাহীন প্রেমে আঁকা নিভৃত অন্তরিত্র।
স্মৃতির পাতায় জমে ওঠা ধোঁয়া,
চোখ দুটো যেন কোনো চিরন্তন দোয়া।
চোরাবালি চোখ সে শুধু টানে,
নিয়তির সুরে বাঁধে অনুপানে।
হারিয়েও খুঁজি খুঁজে প্রেমের ভূত,
আমি তার চোখে হই ধরা খুব।
ডুবে আছি আমি চিরতরে তবে,
চোখ দুটি যেন কোনো স্বর্গ রবে।
হয়েছি বিস্মৃত এই দুনিয়াতে,
চোরাবালি চোখে বন্দি প্রাতে।
রচনাকাল:-
৭ মে, ২০২৫