চৈত্র শেষে বৈশাখ এলে
                       লাগতো হাওয়া প্রাণে,
চারিদিকে খুশির আমেজ
                      বৈশাখী নাচ আর গানে।
কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে করতাম
                       নববর্ষের  শুভেচ্ছা বিনিময়,
রঙ্গিন আলপনায় চারপাশ
                       লাগতো জ্যোতির্ময় ।
পান্তা-ইলিশ আর ছোলাবুটে
                           বাড়ির পর্ব শেষে,
ছুটতাম সবাই নাগর তীরে
                      পুরান বাঙ্গালীর বেশে।
কাঁটাতারের বেড়ায় গিয়ে
                          ভিড় জমাতাম কত!
দেখা হতো বন্ধু-বান্ধব আর
                     ভারতীয় আত্মীয়-স্বজন যত।
হরেক রকম জিনিস পত্র
                           চলতো দেওয়া-নেওয়া,
এপার ওপার শত ছেলের
                           হতো আসা যাওয়া।
ভারতীয় ও স্বদেশী
                     সকল সখা-মিত্র মিলে,
জমতো আড্ডা রমরমিয়ে
                          মিলন-মেলার ছলে।
ভাব দেখিয়ে ওরা যখন
                          বাংলা বলতো মুখে,
আমরাও শালা কম কিসে?
                      দিতাম ভুলভাল হিন্দি ঠুকে।
তাপদাহে চলতি পথে
                       হঠাৎ তৃষ্ণা পেলে,
পানি আর আইসক্রিম খেতাম
                       সবাই বসে কাঁঠাল তলে।
মাঝে-মাঝে বিএসএফ এর
                     আগ্রাসী টালবাহানা দেখে,
এপার-ওপার না ভেবে
                     দিগ্বিদিক ছুটতো লোকে।
আবার এলো বৈশাখ আজ
                     লাগলো হাওয়া প্রাণে,
কিন্তু হায়! গৃহবন্দি সবে
                    ভয়াল করোনার উত্থানে।