ছোট্টবেলায় ঝুনঝুনিতে হালকা আওয়াজ
একটু হেঁকে গয়নাওয়ালা আসত
                   হরেক রকম গয়না নিয়ে
হাতের চুড়ি
       নাকের নোলক
               কান মাকড়ি
                     পায়ের নুপুর
ছোট্ট বালক অবাক হয়ে দেখতাম
অচেনা সেই গয়নাওয়ালা মূল্য নিয়েও
অমূল্য সব খুশির প্রহর, গ্রামবালিকার সরল মনে
                   এঁকে দিত খুব সহজেই !
আমার কাছে গয়নাগুলো রহস্যময়
ভীনজগতের মন্ত্র তখন ।
গয়নাওয়ালার রোদে পোড়া তামাটে মুখ
কী অদ্ভুত হাসির ঝিলিক
অবাক করা প্রশান্তি ছাপ !
যেন মন্ত্রপুরীর মন্ত্রমানব গয়নাওয়ালা
খুব সহজেই মূল্য নিয়েও
অমূল্য করে গেল নিজের আসন ,
নিয়ে গেল গ্রামবালিকার সরল মনের
                প্রতীক্ষার প্রহরগুলো ।
আবার স্বপ্নে হয়ত নিঝুম রাতে
ঝুনঝুনিতে আওয়াজ দিয়ে
                হরেক রকম গয়না নিয়ে,
গয়নাওয়ালা গ্রাম বালিকার স্বপ্ন ছায়ায়
                 হয়ে যাবে স্বপ্নমানুষ ।
কী অদ্ভুত গয়নাওয়ালার গয়নাগুলো !


সেই ছোট্ট বেলার গয়নাগুলো
আমার কাছে সৃতি এখন,
যখন আমার সময় কাটে
দোদুল্যমান ভালোবাসার ঘোরের মাঝে ।
ক্ষণে ক্ষণে ভাবনা আসে
আমার জন্য প্রতীক্ষার প্রহর হয়ত
পার করে কেউ
      আবার হয়তবা না
                 সন্দেহ হয়
আমার কাছে গয়না যে নেই
তাইত এ ভয়,
কেমনে আঁকি কারো মনে খুশির প্রহর ।
স্বপ্নমানুষ হওয়া, আমার সাধ্য কোথায় ।


সেই ছোট্ট বেলার গয়নাওয়ালা
গ্রাম বালিকার গয়নাওয়ালা
মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে
          হতাম যদি গয়নাওয়ালা ।