প্রতিদিন নতুন করে এক একটা আফসোস জন্মে;
বেলকুনিতে দাঁড়িয়ে পৃথিবীকে এক নজর দেখার চেষ্টা করি,
বিশাল পাহাড়ের কাছে দু'টো কথা জমা রাখার আকুতি বাড়ে কেবল।
এক অবিশ্বাস্য স্বপ্ন নিয়ে চোখ রাঙায় নিস্তব্ধ রাতের প্রহর,
সমগ্র আঁধার অভিমানের পথ ডিঙিয়ে যখন নিশ্বাসে ফেলায় শ্বেতপাথরের শহরে
ঠিক তখনি এক গোল্লাছুট আঁকে বুকের করিডোর;
অনায়াসে বেঁধে ফেলি অপমানের সব উচ্ছ্বাস, বিষাদের দাপট!
এক সময় কালের স্রোত অবাধ্য জোছনায় শিশিরের বন্ধু হয়,
ভেসে যায় নীরবতার প্রাঙ্গণ;
কিছুটা যন্ত্রণা খোঁজে নেয় গভীর অরণ্য,
স্পর্শের অন্তরালে কেঁপে উঠে শরীর!
এক আশ্চর্য উপহাস কুড়িয়ে আনে এক চিলতে হাসি
অপমানের রাজ্যে খেলে যায় কড়া শাসন;
বহুবার বিচ্ছেদে দেখেছি স্মৃতির পাতায়,
এক একবার এক এক রকমে ড্রোনের মত ছুটাছুটি করে।
নিরুপায় ছুঁয়ে যায় ছায়া মুখ, দুর্ভিক্ষের শেকলে গাঁথা পৌরাণিক গল্প
সহস্র রাতের মেঘ বন্ধু;
ভীষণ অনুভবে চোখ তোলে নিন্দুকের,
এই হিংস্রতার শহরে অবহেলা ছাড়া আর কি থাকে
নীলাভ কষ্টের ঢেউ ছাড়া আর কি বা জেগে উঠে!!