আজ বড্ড বুড়ো হয়ে গেছি; ঠিক ঠাহর করতে পারিনা
আগের মত কারও কথা রাখতে পারিনা,
তাই বলে কেউ আজ আর ফিরে তাকায় না।
বুকের ভিতর ধূলিকণা জমে জমে পাথর হয়ে গেছে;
খুব মনে পড়ে প্রিয়জনের কথা, কিন্তু সেই কৃষ্ণচূড়া, কদমফুল আর কেশরদামের বুকে জমে উঠা ভালোবাসা নেই বলে কেউ আজ আর আসে না!
কখন যে আষাঢ় আসে আর কখন যে শ্রাবণ পেরিয়ে বসন্তের কোকিল ডাক দেয় ঠিক অবলোকন করতে পারিনা,
রাত যে কখন তার উষ্ণতা ফিরে পাই
আর দিন যে কখন তার পানকৌড়ির সন্ধ্যার আসরে উদ্দীপ্ত হয় তাও বুঝে উঠতে পারিনা!
দু'চোখের পানি আজ আমার আষাঢ় আর শ্রাবণ; এখানে একটি সমুদ্র জন্ম নিয়েছে
মাঝে মাঝে একাই ভিজি, নিজেই গোসল করি
কেউ মানা করে না, কেউ কখনো প্রশ্নও করে দেখেনি!


ইচ্ছে করে একটু বাহিরে আসি, সরিষার দিকে চেয়ে বাড়াই অভিমান
চাঁদের নীরবতার সাথে সাথে নিজেও একটু কষ্ট লুকাই
কিংবা মেঘের কষ্ট দেখে নিজেও একটু স্বস্তি পাই,
কিন্তু সে আদুরিনীও আজ অনেকদূর, খুঁজে পাই না।
মনে হয় সেও ভুলে গেছে,
এই যে তার আর আমার বুকে জমে উঠা একবুক ভালোবাসা,
যার সাথে বাঁচন-মরণের সন্ধি বেঁধেছিলাম।


আজ সবাই কেমন যেন নিষ্ঠুর হয়ে যাচ্ছে;
ক্রমেক্রমে বয়সের বাড়ে আমি ন্যুব্জ হয়ে পড়েছি,
অথচ যাদেরকে ভালোবাসতে কখনো অবহেলা করিনি, কোন দ্বিধা করিনি
তারা আজ তাদের হাসি আর আনন্দ নিয়ে বড্ড বেসামাল,
আর আমি পড়ে আছি আমার আতুড় ঘরে
পানের বাটায় পান ছেঁচি
এই তো আছি বেশ!