গাঢ় কুয়াশার আঁধারে চোখের কাজল বেয়ে বেয়ে জলের ছায়ায় খেলা চলে নিদারুণ;
নিশ্চুপ তাকিয়ে থাকি ধ্রুপদী জ্যোৎস্নার দিকে
যতবার চোখ রাখি, ততবার ঝাপসা দেখি
ততবারই দেয়াল সাজিয়ে নেয় মেঘ, বৃষ্টিজল
অতঃপর এই নিঃসঙ্গ রাতে একাকি ভিজি!
মুহূর্তে নেমে আসে যদি নীরব জোছনা, তখনি বিষাক্ত কাটা নিয়ে স্বপ্নেরা ফিরে আসে এ আমার জলের গহীনে, বেদনার পোড়া মনে;
তোর অবহেলা, ঘৃণা আর কথা না বলে দূরে রাখার ব্যথায় সকরুণ তুষের অনল জ্বলে,
অতঃপর স্মৃতিরা চাদর মেলিয়ে তোর আঘাতের কথা তুলে আনে, আর আমি ঝাপসা চোখে সমুদ্রতটে ফিরি!


আজ নিজেকে বড্ড অসহায় মনে হয়
কিছু অভিমান জমিয়ে রেখেছি বুকে, তবুও নৈঃশব্দের এক একটি ঘুমোট পাতা জাগিয়ে তোলে।
এই যে কত স্বপ্ন বুনেছিলাম; আর তখনি মুঠো ভরে এক একটি প্রত্যাশা জেগে উঠেছিল,
হঠাৎ একদিন সব নিভে গেলো, সেখানে ছাই ছাড়া আর কিছু বাকি রইল না
আর স্বপ্নগুলো ভেঙে ভেঙে একদিন মাটি চাপা পড়ে গেলো!
ভেবেছিলাম একদিন সুখেরা হাতছানি দিবে, অথচ সেখানে আজ আর্তনাদ ছাড়া আর কিছু নেই,
প্রতিনিয়ত বিষণ্নতার এক একটি অভিবাদন ছাড়া আর কিছু পাই না।


ব্যস্ত আকাশ, ব্যস্ত বাতাস আর ব্যস্ত এই নিপুণ পথচলা
তবুও বিরামহীন নোঙর ফেলি, বুকের ভিতর প্রদীপশিখা জ্বালিয়ে তোর প্রতীক্ষায় থাকি।
এই যে ভুলে গেছিস, দূরে চলে গেছিস
তাই বলে কি আমি ভুলে থাকতে পেরেছি?
তোর প্রতি মোটেও অভিশাপ দিতে চেয়েছি?
পারিনি, কখনও অভিশাপ রচনা করিনি
দোয়া করেছি, তোর সুস্থতা কামনা করছি;


জানি তোর সব ভুলের সমাপ্ত ঘটবে একদিন
মায়ের প্রতি অবহেলা, ঘৃণা যে কত ব্যথা, কত কষ্ট তার সমীকরণ সেদিন মিলাতে পারবি
ভগ্নাংশের লব আর হরের মান সহজে নিয়ে আসতে পারবি,
না হয় সেদিন মায়ের কোলে ফিরে আসিস,
সেদিনের প্রতীক্ষায় মা আজো ভালোবাসার দরজা খোলে রেখেছি।