যে মেয়েটি ইচ্ছা আকাঙ্খা আর সমস্ত অনুভূতির সারমর্ম প্রকাশ করতে গিয়ে সমাজের কাছে হেয়
প্রতিপন্ন ও নিষ্ঠাবান শব্দে উপনিত হয়ে বুকে পাথর বেঁধে ঘুমিয়ে পড়েছিল-
এক পৃথিবী কষ্টে প্রকম্পিত হয়ে সমুদ্রের উত্তাল জলের সাথে ভেলা বানিয়ে হৃদয়ের আকাশে মেঘ বানিয়েছিল
অভিমান পুষতে না পেরে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে জলন্ত আগুনের কুন্ডলীতে নিজেকে হারিয়ে দিতে চেয়েছিল কিংবা
নৈঃশব্দের সুরে প্রলোভিত হয়ে নিশি-রাতের ঘুমোট মাখা চোখে তৃষ্ণাদগ্ধ হয়ে সপে দিতে চেয়েছিল নিজের সমস্ত সত্তা-
আমি সে মেয়েটির এক একটি পরাজিত গল্পের কথা বলতে চেয়েছিলাম;
সে পুতুল হয়ে জন্মায়নি; মানবচরিত্রে অক্ষর, শব্দ আর বাক্যের মতো করে মানবতার দৃষ্টি নিয়ে পৃথিবীর বুকে প্রণীত হয়েছে-
বেড়ে উঠার প্রাসঙ্গিক সূত্রে ন্যায় আর অন্যায়কে ধারণ করতে করতে লালন করেছে সুবিচার, নীতি, নিপীড়িত কিংবা নিয়ন বাতির জলন্ত প্রামাণিক দলিল-
প্রতিটা পদক্ষেপের এক একটি চরণে বিচ্ছেদ আর অবিচ্ছের চোখ মেলানো বৃন্দাবন ছুঁতে ছুঁতে অনন্তকালের স্বপ্নে লালন করেছিল নীলাচল কিংবা সুউচ্চ পর্বত-
সে মেয়েটির ইচ্ছা-আকাঙ্খা-স্বপ্ন, চাওয়া-পাওয়ার গভীরতম কাব্যিকতার সুরে কেন এতোটা ব্যঞ্জনা?
কেন তার প্রাধান্যকে, ভালোলাগা সাঁই না দিয়ে বুকে ঝুলিয়ে দিই অতিরিক্ত অবহেলা আর অপবাদের ঢেউ____;
উপেক্ষার শেষার্ধে দিন যায় রাত্রি হয় আর মেঘের শহরে দিন গুণতে গুণতে ভীষণ্নতার ডায়েরির পাতায় জমে তার অলিখিত সংলাপ!