কিছু ভালো লাগে না; আমার একলা জীবন থমকে দাঁড়িয়েছে একমুঠো অভিমানের কাছে
ফুরসৎ মেঘ জমে জমে হাপিত্যেশ!
বিজলীর ঝলসানো আলো কেপে উঠে হৃদয়;
কিছু বুঝে উঠতে না উঠতেই শিশিরের খেলা চলে নিদারুণ।


আজ আর ভালো লাগে না জোনাকির মিটমিট বাতি জ্বলা,
ভালো লাগে না এই কদম কেয়ার গন্ধ, গল্পের আসরে বসে একটু মেতে উঠা;
কিছুক্ষণ চাঁদের দিকে দেখা, কিছুক্ষণ নক্ষত্রের রহস্য আর্ট প্যাপারে আঁকা মাঝেমাঝে কবিতার কথা ভাবা, কিছুটা লেখা,
কিছুতে-ই আজ আর মন বসে না!
যেন কত বছর ধরে আমার সারাটা পৃথিবী চন্দ্রগ্রহণে আঁধার হয়ে আছে
আঁধার হয়ে আছে এই স্বপ্নের বুকে জেগে উঠা অজানা আনন্দ, অফুরান কিছু স্মৃতি!


প্রতিনিয়ত আরশির বুকে মুখ লুকিয়ে রাখি, ইচ্ছে করে না এ চেহারা তাকে দেখায়
ইচ্ছে করে না তাকেও আমার সাথে অভিমানিত করতে;
আধপেটে জমিয়ে রাখি বিষবেদনা, স্ট্রিটের কোণে মিছেমিছি অপবাদ,
তবুও তারা আকাশ ফেটে বের হয়ে আসে, আর লালসার বুকে যাতনা যোগায়!


নাগরিক নীলচে যাতনারা ব্যস্ততার খড়মপেটে এসে বিঁধে
বিরহের মালা বিকিয়ে দিই মদ্যশালায়, পুষে রাখি প্রিয়জনের কষ্ট
তৈলচিত্রে ক্যানভাসে জলের মিশ্রণ যোগ করি,
তবুও তারা লাল-নীল-হলুদ হয়ে ফিরে আসে ধূসর চিন্তাটাকে আরও বেশি জ্বালিয়ে দিতে,
হতাশার বুকে আগ্নেয়গিরির সমুদ্র বানাতে
অতঃপর আমার শহর ভেসে যায় দু’চোখের নোনাজলে, আর আমি আপন করে নিই বিষণ্ণতার সমুদ্রতট!


সব সইয়ে যাবো আজ নীরবতায়, পুষে রাখবো মেঘাচ্ছন্নের কাছে
এক এক করে সুতো বেঁধে নিবো বৃষ্টির সাথে, হটাৎ ধসে পড়া পাহাড়ের সাথে
তবুও আজ আর কিছু বলবো না, আজ আর কারো পথ আটকে রাখবো না;
সব জমিয়ে রাখবো রৌদ্র আর মেঘের মিশ্রণে, জীবন স্মৃতির পাতায়, এই কাব্যখাতায়
তবুও আজ সব সইয়ে যাবো এই নীরব যাতনায়!