অতঃপর একদিন বেরিয়েছিলাম তোমার খুঁজে;
পথে পথে বেলি, বকুল আর হাসনাহেনা ফুলের মেলা বসেছে
টিয়ে, ময়না, ঘুঘু আর অতিথি পাখির চিৎকারে মাতাল পরিবেশ
খালের দু'পাশে ছোট ছোট খড়ের ঘরে মানুষের বসতি।
একপাশে দু'গ্রামের মানুষের জগড়া, অন্যপাশের মানুষ অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে:
বালুচরের উপরে বক আর পানকৌড়ির সমারোহ,
পুকুরের পাড়ে পাড়ে মাছরাঙা নিশ্চুপে চেয়ে চেয়ে মাছের খেলা দেখছে নিদারুণ
সবই তো আছে আজ, শুধু তুমি নেই।


সন্ধ্যা পুরাতে না পুরাতে নিভিয়ে গেছে কুপির প্রহর
বনের ভিতর দিয়ে শুধু একলা আমি,
কখনও ভুতুমপ্যাচা, বাগডাশ আর কখনও পাতিয়ালের ডাকে শিহরিত হয় বুকের ভেতর,
সবুজের বাগান পেরিয়ে সরষে ফসলের জমিনের সাথে কথা হল কতক্ষণ,
তারাও দেখিনি তোমাকে কোনদিন
তারাও আশ্চর্য হয়ে গেছে এমন প্রশ্ন পেয়ে,
তারাও সেদিন বলল ভালোবাসার মানুষ বড্ড বেমানান!!
তবুও আমি কান দিইনি তাদের কথা।
কখনও ফলের গন্ধ, আর কখনও বিরহের ছন্দে ব্যাকুল আমি;
রাত গভীর থেকে আরও গভীরে ঢুকে পড়েছে
বিশাল এলাচি আর ঘাসফুলের মাঠ পেরিয়ে খুঁজে পেয়েছি এক শহর
জনতার কোন সাড়া শব্দ নেই,
শুধু ল্যাম্পপোস্টগুলো দাড়িয়ে আছে নৈঃশব্দের নিস্তেজ শব্দ নিয়ে।


তুমি আজ কোথাও নেই;
তুখোর রঙিন স্বপ্ন ভেঙে ভেঙে আজ নিখাদ নোনাজলে ডুবি,
হাতের মুঠোই জমা রাখি বিষাদের শেওলা।
পাথরের মন তোমার, কখনও স্বপ্ন দ্যাখোনি
শুধু ছলনা করে করে পাহাড়ের বুকে আগুন ঢেলেছ...!!