একদিন আমিও তোমার কাছে এক চিলতে ভালোবাসা চেয়েছিলাম
তুমি না করোনি, ঠিক দিয়েছিলে;
যেমন বসন্ত নিজেকে বিসর্জন দিয়ে নিজের সৌরভকে
মোহান্বিত করে প্রকৃতির বুকে আলোড়ন ছড়িয়ে দেয়!
আবার একদিন ভালোবাসার প্রমাণ চাইতে গেলে
সেদিনও তুমি না করোনি,
মুহূর্তে হাত কেটে ভালোবাসার প্রমাণ দিয়েছিলে;
তখন সূর্যের লাল আভা টুপটুপ করে ভিজে গিয়েছিল সবুজবন!
হাহাকার করে মেতে উঠলো আমার সবগুলো স্বরবর্ণ
বুকের ভিতর দাউ দাউ করে জ্বলে উঠলো এক জ্বলন্ত কাঠ,
একঝাঁক বজ্রের সঙ্গে নিজেকে মিশিয়েছিলাম মেঘের আঁচলে!
অতঃপর একদিন সোনালী রৌদ্রের স্বর্ণাভ আলোর দিকে মুখ ফিরিয়ে বলেছিলে-
দোদুল বাতাসে ডানা মেলে উড়তে শিখিনি আমি
তেজোস্বনী নদীর মত খেলা করতেও জানিনা,
শুধু শাড়ির পরতে গুঁজে রাখতে শিখেছি আঁখি কাজল, ভালোবাসার মায়াজাল;
পারো যদি ঐ বাসন্তী ফুলের মত যতন করে বুকের ভিতর সাজিয়ে রেখো আমায়!
আমি সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে পারিনি, আধো ছেড়া পাতায় তোমার অতিথি হতে পারিনি,
তোমার ইচ্ছের রঙ ফুটাতে চেয়েও পারিনি!
জানি তুমি আজ ছলনাময় বলবে; স্বার্থপর, অকৃতজ্ঞ, বেঈমান যা-ই বলো না কেন
আমি মেনে নিতে কোন দ্বিধাবোধ করিনা, এ মনে কোন অবকাশ জমাই না!
কিন্তু নিরুপমা জানো, শত ঝর্ণার জল গড়িয়ে পড়ে আজ আমার উঠোনে
আকাশভাঙা শব্দে যতন করে সাজাই প্রাপ্তির স্থান,
প্রতিদিন জানালায় দাঁড়িয়ে দেখি বৃষ্টি, চমকপ্রদভাবে ভিজিয়ে দিয়েছে জেগে উঠা শহর;
সে শহরের এক উদ্ভ্রান্ত নাগরিক আমি, বাঁচা-মরার যুদ্ধে প্রতিনিয়ত থমকে উঠি!!