হয় তো বা জেগে থাকি কিছুটা রাত, ঘোলাটে মেঘ ভিজিয়ে দেয় সীমারেখা
কান পেতে রাখি দেয়ালে, নিষ্পাপ প্রহরী চুষে নিচ্ছিল বিচ্ছেদের পরিমাপ;
আহা! কি নিঃস্ব শরীরেরগাঁট, কি অবৈধ রীতিনীতি!
পালটে যায় প্রতিদিনের রূপরেখা,  তালবেতাল স্বপ্নের উড়াউড়ি
জানালার কাঁচ বেয়ে গাঁয়ে পড়ে সমস্ত উত্তাপ,
একটুখানি এলিয়ে নিই পশমি মেঘের দ্বীপপুঞ্জ ;
এ চোখে হয়নি দেখা কল্পনাতীত, এক পা ডিঙাতে হাঁপাচ্ছিল তলপেট
শুধু চারপাশে সমুদ্রস্নানের আজন্ম কোলাকুলি, আর প্রত্যহ ধসে পরা অন্ধকার!


চিবুক হতে গোড়ালি রোদ্দুরের রঙে প্রলোভিত
মৃতপ্রায় পড়ে আছে তীব্র ক্ষুধা, ইতস্তত ছোটাছুটি প্রাপকের ঠিকানায়
তখনই আত্ননাশা নিঃসঙ্গতার সাথে, যুক্তির দেয়াল খোলাসা  
হিম শীতলতায় দুমুঠো অভিমান ভেসে যায় বাতাসে
আনাড়ি কান্নার আওয়াজ ঘুমিয়ে পড়ে নিরুপদ্রব জ্যোৎস্নায়!


ধু ধু মরুভূমি  আত্নার ক্ষয় উপুর্যস্ত
অশান্ত ক্ষণে  প্রাচীন নীড়ে জমিয়ে তুলে বিষ,
এখনো প্রহেলিকায়  দাঁড়িয়ে আছে নিকোবর, কানারি, বাহামা;
সহস্র শতাব্দীকালের এই নীরবতার প্রাচীর ভেঙে যদি আসে যোগ বিয়োগের সমীকরণ,
তবেই ফিরবে অমর্ত্যলোকের তুষ্টির জলসাঘর!