আমরা গাই সাম্যের গান,
যেথায় ধনী-গরিব সবই সমান!
নেই কাহারো রাজাধিকার,
মানুষ সবাই, ভাবি এক পরিবার!
কে বলে তুমি শ্রেষ্ঠ রাজা?
খাজনা দিয়ে তোমায় বাঁচায় প্রজা!
চাষার ঘামে ফসল ফলে,
তারই ঘামে তোমার সভ্যতা চলে!
আমরা গাই — সাম্যের গান,
যেথায় ধনী-গরিব সবই সমান!
শুধু যার হাতে টাকা গোনা,
সে কি রত্ন? সে কি সোনা?
শুধু টাকা আছে যার, সে কি মানুষ?
একাকীত্বে সে দেখো হারায় হুশ!
শ্রমিক কাঁধে ভার নেয় যত,
তাদের হাতেই গড়েছে জাত শত শত!
রক্ত এক, দেহ এক,
কেন তবে ভেদাভেদ?
ভাঙ রে এই বর্ণ শ্রেণীর বিবাদ,
নতুন দিনে গড়ি সাম্যের বাঁধ!
ভাষা, জাতি, রং নয় প্রধান,
চিনো মনুষ্যত্ব—নির্বিচারে মহান।
নারীর চোখেও স্বপ্ন জ্বলুক,
সে-ও তো মানুষ, কেনই যে যাই বলুক?
কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে করুক সে কাজ,
পাবে মর্যাদা, পাবে সম্মানের তাজ।
শিক্ষা হোক সবার অধিকারে,
নয় কেবল ধনীর গৃহের দ্বারে।
জ্ঞান ছড়িয়ে পড়ুক মাঠে-ঘাটে,
জাগুক আলো অন্ধকার রাতে।
ধর্ম যেন না যায় দানবের হাতে,
ভালোবাসায় হোক সবার সাথে।
মন্দির-মসজিদ, গির্জা বা ঘর,
সবখানে যেন বাজে এক স্বর!
শিশু যেন না কাঁদে ক্ষুধায়,
হাসুক সে মুক্ত বাতাসের ছুয়ায়।
খেলার মাঠ, পাঠশালা, গান,
সবার জন্য হোক সমান সমান।
বৃদ্ধ জননী যেন না হারায়,
একাকী সময়, ভালোবাসা না পাই।
পথে নয়, থাক ঘরে সে নিয়ে আশ্রম,
এই তো সাম্যের আসল নিয়ম।
বনের প্রাণী, জল আর পাহাড়,
সবারও আছে পৃথিবীর উপর অধিকার।
প্রকৃতির সাথে করি যদি হানাহানি,
ফিরবে সে অভিশাপ হয়ে আমরা তা জানি।
ভালোবাসায় গড়ি মানবভুবন,
সবার মাঝে হোক সমান মান!
অপরের শোকে যে দেয় সাড়া,
সেই তো মানুষ, বাকিরা হৃদয়হারা।
ভেদাভেদে সমাজ ভেঙে যায়,
আসো সমাজ গড়ি মানবতায় ।