‘ফ্রি ভার্স’

একই উদ্দেশ্যে, একে অপরকে পাশে রেখে  
চলেছিলাম আমরা বাড়ীয়া পা ।  
একই স্বপ্নে চোখে ছিল আকাশের নীল,  
একই পৃথিবীতে, একটাই ছিল আশা।  

তবে হঠাৎ, কোথা থেকে যেন এক ভিন্ন সুর,  
তোমার চোখে আর সেভাবে মিলল না আলো,  
আমি যেদিকে তাকালাম, দেখলাম নতুন এক পৃথিবী,  
আর তুমি? তোমার চোখে ছিল এক অজানা পথের খোঁজ।  

পথের শেষেও যদি এক হয় গন্তব্য,  
তবে কেন এই দূরত্বের ছায়া পড়ল?  
কেন এই পথভ্রষ্ট, একসাথে চলেও  
অন্তরে দুটি আলাদা স্বপ্ন খুঁজি আমরা?

এমনকি যদি একই উদ্দেশ্য থাকে,  
তবে কি সমান্তরাল দুটি হৃদয় চলতে পারে?  
একই গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য,  
কীভাবে হয় দুই দিকের পথের মিলন?  

আমি চেয়েছিলাম, তুমি চেয়েছিলে কিছু ভিন্ন,  
তোমার ভিতরে আমার ছায়া হারিয়ে গেল।  
আর আমার মধ্যে তুমিই গোপনে ছিলে,  
কিন্তু কোনোদিন পথের শেষে দেখা হয়নি।  

একই উদ্দেশ্য, দুজনের গন্তব্য দুদিকে,  
এটা ছিল শুধু মিথ্যা আশার খেলা,  
যেখানে শেষ পর্যন্ত সঙ্গী ছিল না কেউ,  
শুধু হাওয়া আর মেঘ, একে অপরকে ছাড়িয়ে চলল।  

নিজের সঙ্গী আজ শুধু নিজে

অনিশ্চিত পথের এই দীর্ঘ যাত্রায়,  
যে পথ কখনো মেঘে ঢাকা, কখনো আলোয় ভরা,  
আমি চলেছি একাই, সঙ্গী ছিল তুমি  
কিন্তু আজ, শুধু আমি, শুধু আমি।  

তোমার ছায়া ছিল পাশে, ছিল হাতের আশ্বাস,  
বছরগুলো ছিল অঙ্গীকার, ছিল একসাথে থাকার প্রভাত।  
কিন্তু একদিন, তুমি হারিয়ে গেলে,  
মনে হলো, কি যেন ভুল হয়ে গেছে, পথটা বিভ্রান্ত।  

আজও যে পথ হাঁটছি, সে পথ জানি না কোথায়,  
শুধু জানি, যে সঙ্গী ছিল, সে আর নেই,  
এবার আমি চলি শুধু নিজের সাথে,  
নিজের সঙ্গী, নিজের প্রতিবিম্ব।  

আমার মাঝে এখন শুধুই নিঃসঙ্গতা,  
তবু সেই নিঃসঙ্গতায় এক অদ্ভুত শক্তি,  
যার মধ্যে আমি নিজেকে খুঁজে পাই,  
এমনকি ভুল পথে যেতেও ভয় নেই আর।  

পথের কোথায় যেন শেষ রয়েছে,  
কিন্তু আমি জানি না, সেই শেষ কোথায়।  
এখন শুধু আমি, আমার সিদ্ধান্ত,  
এ পথ যে একলা, তবু আমি যেন পথিক।  

তোমার সঙ্গী হওয়ার সে সময়ছিল,  
এখন শুধু আমি, এই পৃথিবী আর আমি,  
এখন নিজের মধ্যে খুঁজে নিতে হবে,  
সব প্রশ্নের উত্তর, নিজেই নিজের সঙ্গী।