কেজিদরে কিনে আনা একবস্তা কাগজের উল্টো পিঠে বড় করে লিখলাম,
"চাকরি চাই! চাকরি চাই! চাকরি চাই!"
সেলিমের মোড়ের দোকান থেকে একটা কমদামি আঠা বলে কয়ে নিয়ে আসলাম,দশটাকা দাম
পরে গতর খেটে শোধ করে দিয়ে দিবো।
অনেক খুঁজে একটা আধময়লা দেয়াল বের করলাম,কিছুটা খালি।
একটা কাগজ লাগানো মাত্রই দারোয়ান গোছের একজন এসে দিলো আমায় গালি!
"এই হারামজাদা দেয়াল নষ্ট করলি কেন?এ তোর বাপের দেয়াল?"
"মাফ করবেন হুজুর,নষ্ট করার ছিলো না আমার খেয়াল।"
অতঃপর কোনো কথা নেই বার্তা নেই গলাধাক্কা দিয়ে আমাকে ময়লা,সরু গলি থেকে বের করে দেয়া হলো
আকাশের দিকে চেয়ে চিৎকার করতে লাগলাম,হে ঈশ্বর আমি এখন কোথায় যাবো তা আমাকে বলো!
ঈশ্বর নির্বিকার,নিরুত্তাপ,নিশ্চুপ।
সারাদিন বন্য পশুর মতো খুঁজে বেড়ালাম হন্য হয়ে
শেষ রাত্রির দিকে কালিঝুলি মাখা শরীর নিয়ে,একটা নষ্ট ল্যাম্পপোস্টের নিচে দাড়ালাম
সামনে আমার সাদা দেয়াল,যতখুশি চাকরি চেয়ে কাগজ সাঁটা যাবে
কিন্তু হায়,শুকিয়ে কাঠ হয়ে আছে ভিক্ষে চেয়ে আনা আঠা
তবে আমার কপালটাই ফাটা!
একমাত্র সুযোগ হারিয়ে এখন আমি কেবল এবং কেবলমাত্র একটি চাকরির একমাত্র যোগ্য প্রার্থী
বিষাদের সমুদ্রে খেয়া নৌকার মাঝি হওয়ার চাকরি।
কেউ আবার আমার এই চাকরির আশাটাও কেড়ে নিবে না তো?