ভ্যানের উপর শুয়ে
মাথার উপর থাকা বিষাদে মোড়ানো আকাশ না ছুঁয়ে
বিলাপে নিমগ্ন থাকে কান্তক্যাবলা।
বিষাদের মাদকগন্ধ আস্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রেখেছে
রক্তে বইছে এলএসডি ড্রাগ
কিন্তু ঘরে নেই কোনো এনার্জি বাল্ব।
তাই আলোর খোঁজে অন্ধকারের সাথে বসে
উপরে ঝড়ের অপেক্ষায় প্রহর গুনতে থাকা আকাশের সাথে বিতর্ক করে।
এখন অবশ্য রাতের আকাশ নির্মল,স্বচ্ছ,নির্জন
কিন্তু পাল্টাতে কতক্ষন?
যেখানে মানুষ পালটায় ক্ষণে ক্ষণে সেখানে আকাশ কেন নয়?
বিতর্কিত ঈশ্বরকে প্রশ্ন থেমে যায়
কারন,কোদালের শব্দ শোনা যাচ্ছে,মাটিতে কোদালের স্পর্শ টের পায়
কান্তক্যাবলা।
ভ্যান থেকে নামে,সামনের কাঁটাতারের বেড়ায় দেহ গলিয়ে দিয়ে দেখে
পাঞ্জাবি,টুপি পরা দুজন লোক কবর খোঁড়ার আনন্দে আছে মেতে।
কান্তক্যাবলা শিউরে উঠে,কারন তারা কারো জন্য কবর খুঁড়ছে না
বরং দেহ তুলে নিচ্ছে কবর থেকে।
তিনদিনের বাচ্চা মেয়ের কবর খুঁড়ছে,মেয়েটি অন্য গোত্রের বলে এটা বিধিসম্মত।
কান্তক্যাবলা চিৎকার করে
কিন্তু সে চিৎকার আলট্রাসাউন্ডে পরিণত হয় বলে বিধি মেনে চলা মানুষগুলো শুনতেই পায় না
লটারি অফ বার্থের চক্করে তিনদিনের শিশু রক্ষা পায় না মৃত্যুর পরে
ইহকালের পরে পরকালের সূচনাও হলো একই ভূমিকায়।
কান্তক্যাবলার চিৎকার মানুষ শুনতে না পেলেও
বিষাদে মোড়ানো কুকুর শুনতে পায়।
কারন,সে কোনো বিধি মানে না!