অশ্রু দিয়ে যদি দুঃখ ধোয়া যেত,
দুঃখ রাজ্যের সকল বন্দী হয়তো মুক্তি পেত।
ফুটত যদি সুগন্ধি ফুল কঠিন পাথর বুকে,
বিঘ্নতা আর দাঁড় হতোনা মৌনতার সম্মুখে।


আঁধার রাতের তারা থাকে জমিন পানে চেয়ে,
হৃদয় তেমন সুখের পানে হাজার ব্যথা পেয়ে।
অশ্রু বিন্দু বয়ে আসে ব্যথার সিন্ধু হতে,
পরিণতি ধংস করতে থাকে যে ওত পেতে।


ধোয়াও যায়না মোছাও যায়না হয় না ভূলে থাকা,
জীবন চলার পথটা যখন নিজেই আঁকাবাঁকা।
দিন দুপুরে হৃদয় রাজ্যে গোধূলি লগ্ন নামে,
হৃদ স্পন্দন ছাড়া তখন অন্য সবই থামে।


যতক্ষণ না হৃদ ক্রিয়া স্তব্ধ হয়ে যায়,
সে পর্যন্ত অশ্রু ধারা ঝরে অঝর ধারায়।
সুখ সকলের পর অত্যন্ত দুঃখ অতি আপন,
স্রোত যখন বইতে থাকে সুদূরে রয় সুজন।


অতি দুঃখে পাথর অন্তর নীরব হয়ে কাঁদে,
পরপারের নিমন্ত্রণ তাই ক্ষণে ক্ষণে সাধে।
এমন ব্যথায় মরার মাঝেও বাঁচার অশেষ সাধ,
নিরাপদে সুখী হতে সকলে উম্মাদ।


লোকে শুধু দেখতে পারে অশ্রু জলের ধারা,
প্রতি কণার লাখো চিৎকার পায় না শুনতে তারা।
লক্ষ ফুলের গাছ কাটা যায় যায় না ছেড়া মালা,
শুকিয়ে যাওয়ার পরে জোটে শুধুই অবহেলা।


যায়না বোঝা ঐ মালাটাই যত দুঃখ পোষে,
অন্তরালে অবশিষ্ট রক্ত বিন্দু চোষে।
বল পাথর তোমার বুকে ফুটবে কবে ফুল,
অশ্রুজলে সিক্ত বিবেক শুধরে নিবে ভুল।