মানুষ যদি কোন ভাবে, অনন্ত কাল বাঁচত,
এত লোকের বসত বাড়ি কোথায় তবে গড়ত?
চোখের পলক সমান জীবন, তাই কি অভাব খাদ্যের,
অমর হয়ে গেলে তবে, কি হত উপায় তাদের?


এক মুহূর্ত বেঁচে থাকার, নাইতো কোন ভরসা,
বিন্দু মাত্র স্বার্থ তবু, ছাড়ছে না কেউ সহসা।
সবাই জানে যেতে হবে, রঙিন ভুবন ছেড়ে,
তবু মানুষ এই মানুষের, মুখের খাবার কাড়ে।


সোনার মহল গড়ে, বানায় শ্বেত পাথরের ইমারত,
চাঁদে হচ্ছে বসত ভিটে, মঙ্গলেও গেছে রথ।
সামান্য এই মাটির দেহ, মিশবে মাটির সাথে,
কিছুক্ষণের জন্য কতই, সাজ সজ্জা তাতে।


মানুষ যেন হয়ে গেছে, পশুর চেয়ে অধম,
নিজের ভাইকে হত্যা করে, লোভ লালসা চরম।
বস্ত্র ফেলে উলঙ্গ হয়, নোংরামিতে মাতে,
থাকতো যদি অমর জীবন, এই মানুষের সাথে।


হয়তো সবল দুর্বলেরে, আস্ত গিলে খেতো,
চন্দ্র সূর্য কেউবা নিজের, নামে লিখে নিতো।
আজ মরবে জেনেও ভাবে, কি খাবে সে কাল,
মানুষ খেয়েই বাঁচত মানুষ, বাঁচলে চিরকাল।