শূন্য প্রাণকে পূর্ণ করতে হঠাৎ তুমি এলে,
রিক্ত ব্যাথায় সিক্ত আমায় ধন্য করে দিলে।
নগন্য এই বন্য আমায় বুকে টেনে নিলে,
ব্যাথি প্রাণের সাথী আমায় ঋণী বানালে?


এই আত্মার আত্মীয় হয়ে করছ প্রাণে বাস,
স্বত্বাটাকে সাথী করে আনন্দের উদ্ভাস।
ক্লান্ত দেহের প্রান্ত ছুয়ে পরম সুখের উচ্ছাস,
দুরন্ত বনে ফুটন্ত ফুল পাখ পাখালির উল্লাস।


ভগ্নদেহী নগ্ন প্রাণের আমায় করলে সবল,
চিত্ত জুড়ে নিত্য তুমি গহীন স্মৃতির অতল।
পুণ্য বীণে ধন্য আমি পাচ্ছি তারি সুফল,
চিরন্তন আবেদন ভরা তোমার নয়ন যুগল।


বিষণ্ণ জঘন্য আমায় দিলে অশেষ শান্তি,
অজস্র সহস্র ক্ষমায় সংশোধিত ভ্রান্তি।
দুরন্ত ছুটন্ত আমার দূর হয়েছে ক্লান্তি,
উগ্রবাদী জেদি হলাম ঘৃণার পরিপন্থী।


যত্রতত্র ঘৃণার পাত্র পেলাম অশেষ সম্মান,
অনন্য তারুণ্যে ভরা স্বর্গসুখের সন্ধান।
উত্তপ্ত বিলুপ্ত আমার প্রাণে তুমি কল্যাণ,
নগন্য এ বন্য জীবন তাই করে যাই সম্প্রদান।