মিছে ভাবনায় ডুবেছিলাম ভুলে গিয়ে সোজা পথ
পেতে-পেতে গেল দিন, অপূর্ণ রয়েছে মনোরথ।
অপেক্ষায় অসম গিরিতে আজি বিষম ত্রস্তে কাটে
তবু যদি পাই ভেবে এলাম বেলা শেষের হাটে।


চিত্তের সুখে প্রভাত বেলায় কাটেনি ঘোর-ঘুম
আলস্যে-স্বপনে গড়াগড়ি যাই ফুর্তির লাগে ধুম।
এইতো হবে, হচ্ছেই-তো বেলা আছে ঢের বাকি
মুসাফির ডাকে তবু তারে মিছে-মিছি দিয়ে ফাঁকি।


তপ্ত-রুধির সুপ্ত বাসনায় উড়ায়ে অগ্নিকেতু-
বেলা গেলে তব খুঁজে পাইনি এহেন কর্মের হেতু।
সময়ের কাজ সময়েই মানায় অসময়ে বড় বোঝা
যেন আঁধারে রশি ছেড়া খ্যাপা-বৃষ বৃথা খোঁজা।


শীর্ণ দেহে উঁচু টিলা দূর নুড়িতেও আটকায় পথ
বিশ্বাসে এলে চির সত্যিও মিথ্ আসে নানা মত।
ভ্রান্ত পথের গোলক ধাঁধায় ঘুরে ঘুরে কাটে বেলা
যখন বোধে এলো হুস ভাঙিল ভবের রঙ্গ-মেলা।


সোজা পথ যদি এক তবে মত কেন বহুবিধ?
জাগতেই যদি হয় তবে কেন আসে চিত্ত-সুখের নিদ?
সৃজিয়া মোরে দিয়ে বাসনা বিলোভন পথের বাঁকে
দণ্ড তবু দিবেই মোরে তুমি কোন আইনের ফাঁকে।


অধমে খোঁজে বৃথা সাধনায় দিবালোতে ধ্রুবতারা
কোন পথে যাব দ্রুত-লয়ে, আমি যে পথহারা?