মা তুমি কেমন আছ?
কেমন আছে তোমার শরীর?
যুগে যুগে তোমার শরীরে বাসা বাঁধে
কিছু পিচাশ, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস;
তোমাকে কুঁড়ে-কুঁড়ে খায়,
কিছু জীবাণু সনাক্ত হয়,
তাদের মারি অথবা বিতাড়িত করি-
কিছু পরজীবী বাসা বাঁধে,
আবার চলেও যায়।
ওদের দোষ বলব না,
দোষ তোমার ওই রক্তের,
তোমার নতুন জন্মের-
হাঁ, তোমার নতুন জন্মের।
২৬শে মার্চ ১৯৭১ তোমার নতুন জন্ম হয়েছিল,
তোমাকে স্বীকার করেনি;
স্বীকার করেনি কিছু পিচাশ
তোমার শরীরে লেপটে থেকে
শুষে খেত রক্ত, মাংস, ঘিলু ।
দুনিয়া থেকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়ে ছিল,
পারেনি,
প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস করতে পারেনি;
কারণ, যেমন বৈদ্য তেমন পথ্য,
ঝাড়-ফুক, পথ্য দিয়েছি প্রায় নয় মাস;
শরীরের পা থেকে মাথা অবধি প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়েছে!
পারেনি,
শেষ পর্যন্ত পারেনি পিচাশ দল।
ওদের হটিয়ে দিয়েছি-
১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করেছিল,
নেচে-গেয়ে তোমাকে কোলে নিয়ে
বিজয়ের আনন্দ-উৎসব করেছি;
এবারও করবো,
লাল সবুজের নতুন জামা পরে, নূপুর পায়ে।
হাটি-হাটি পা-পা করে এগুচ্ছো-
শিশু থেকে কৈশোরের দিকে,
জীবন প্রবাহের মতো।
মাঝে মাঝে সংক্রমিত হও
পুরনো অসুখটা মাথা চাড়া দেয়,
ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, পিচাশ
ওদের বংশধর তোমাকে কষ্ট দেয়।
তার পরেও বলি-
মা, তুমি কেমন আছ?
কেমন আছে তোমার শরীর?