ভম্বল কয় চটাই’রে,       পিঠা পায়েস খাইরে
          শীত কাল, কে বলেরে কষ্ট?
গরমে হই অতিষ্ঠ,          কালের অনা সৃষ্ট
          ঘেমে পঁচে সব কিছুই নষ্ট।


রাতের ঘুম ভাল হয়,      গায়ে-গায়ে লেগে রয়
         অভিমান থাকে না কারো মনে।
আজ রেধে কাল খাই,     সকালে স্বাদ পাই
          বোয়াল আর লাউয়ের সালুনে।


চটাই রেগে চোখ পাকে,    ছেড়া চাঁদর গায়ে মাখে
          বিড়বিড়িয়ে ভম্বলরে কয়, কি?
তোমার আছে অর্থ-কঁড়ি,   ঠান্ডা-গরম দিয়ে বাড়ি
          শরীরের তেজ বাড়াতে খাও ঘি।


ঘুম হতে বেলায় উঠ,        গাড়ী নিয়ে অফিসে ছুট
           বউ গায়েদেয় সোনার গয়না।
পাখির ডাকে ভোরে উঠি,   লাঙ্গল কাঁধে মাঠে ছুটি
           খালি পায়ে মাটির ঢেলা সয়না।


শীতে কেঁপে বাড়ী ফিরে,    বউ’রে পাঠায় নদীর তীরে
           ছোট্ট খোকা বিছানা করেছে নষ্ট।
বউ থাকে এক বস্ত্রে,          ছেলে-মেয়ে কাঁপে ত্রস্ত্রে
           ঠান্ডা-ভাত খেতে কি যে কষ্ট।


গরম এলে শান্তি পাই,      ভাঙ্গা ঘরের মুক্ত বায়
           প্রাণ খোলে কই মনের কথা।
যার ভাল তার কাছে,        অন্যের সুখ রবে পিছে
           কেউ বুঝে না কারো ব্যাথা।