আদি এই দেশে বিজয় আসার আগে প্রিয় সীমাকে বলেছিলাম:
     যাসনে। সবুজ ভিটে ছেড়ে বিভূঁই-কুয়াশালোকে... যাসনে অচিন ঘেরে।
অথচ চলে না গিয়ে সে সময় ষীমাদের কোনও উপায় ছিলনা যে। সব
ছেড়েছুঁড়ে অমা ও অজয়ম্লান এক ভয়াল প্রহরে ভয়াতুর পরিবার চরে গেলো
ওপারে। এপারে আমি বড়ো বিভাজনে স্মৃতির দু'হাত ধরে ঘুরঘুর করলাম
সীমাহীন খাঁ-খাঁ উদোম উঠোনে কিছুকাল। কিছুকাল পর দেখি
সে উঠোনপাটে কাদের বিষম ধূলি ওড়ানোর ধুম। কারা যেন
উড়ে এসে জুড়ে বসেছে হঠাৎ সীমাদের ফেলে যাওয়া হাওয়া-চুরমার ঘরে।
পেতেছে পৃথুল সংসারও। ওদের উটকো ভেবে কিছুকাল আমার কেটেছে
বিবমিষায় ও দ্রোহে। কিছুকাল গেছে স্বপ্নযুদ্ধে। পরে
দ্বিধা-দশঘোরে কালের হিঙুল ডানা ভেসে গেলে বুঝি
যে দেশে স্থপতি ও স্থাপত্য ছারখার... বন্ধুতার হাহাকারলিপি
তারচে' বেশি কি আর!


কিন্তু বিজয়ে ও মহালয়াশোরে সীমাকে আমার বড়ো মনে পড়ে।
চারপাশ হু-হু করে।
হয়তো বিভূঁই আজ দেশ।
হয়তো বা পরবাস।

শুধু স্মৃতির বিশ্বাস:
    এই দেশে আছে ধ্রুবশিশুকাল... হৃদিমাস... প্রিয় দীর্ঘশ্বাস।
-----------------------------------------------
* প্রিয় সই সীমা এখন আগরতলায় পেতেছে সংসার... ত্রিপুরায় আম্বেদকর জন্মজয়ন্তী উৎসবে আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে গিয়েছিলাম, সেখানে শিক্ষামন্ত্রি কবি
অনিল সরকারের স্ত্রীর সহযোগীতায় খুঁজে পাই সীমাকে।*
-----------------------------------------------