প্রিয় জয়, তোমাকে ছুঁয়েছি এক শিশুতোষ ঘোরে। যেন বড়ো একরোখা জলে
রূপোলিয়া গোমতি জাগানো তীব্র কলরোলে। হু-হু ভয়াল প্রহরে ছলছলে
ভোরগুলি ছুঁয়ে দুপুরে লিখেছি জয়বার্তা কাঁপা হৃদিপাশে।
ত্রস্তে জ্বেলেছি শুকনো ধারাগুলি ঘাসে-ঘাসে।
যাতে খানাখন্দগুলি বুঝেশুনে চলি। যাতে শত্তুরের মুখ চাই হয়ে আসে।
মর্মরিত পথগুলি উড়িয়ে-পুড়িয়ে প্রিয় গ্রামগুলি রেখেছি যতনে যেন অভয়ের বাণী।
দ্রোহতলে উতসর্গ করেছি সমস্ত দগ্ধ দিনরাত্রি। জানি
একদিন সুবসন্ত পুনরায় আসবেই। তখন বাতাসে
পুনরায় ছায়াময় সবুজিয়া-হলুদিয়া স্বপ্নে বসবো তোমার পাশে।
ধী-আগুনমাখা মৃত্যুর আঙুল থেকে খুলে নেবো মুক্তির হিঙুল আংটি ভালোবেসে।
সমস্ত বর্বর রাত্রি ভুলে সমস্ত অন্যায়যজ্ঞ ভুলে তোমার দুহাতে তুলে দেবো সূর্যলাল
আমাদের ধস্ত নদী, স্বপ্নাদ্যের মাঠ, মাঠের উড়াল আর দুঃখজঞ্জাল।


প্রিয় জয়, আমরা পুড়ছি আজও অযুত কান্নায়।
পিতৃহীন-ধাত্রীহীন আমাদের উতস কুঁকড়ে আছে অন্ধকারের থাবায়।
তথাপি বিষম তীব্র আগামীর গানগুলি বিবেক জাগায়।
তখনইতো তোমাকেই ছুঁই এই সুবিস্তীর্ণ জলের ভাষায়।

প্রিয় জয়,তুমি কি বুঝতে পাও তোমাকে ছুঁয়েই নিযুত অন্ধকারেও আলোময়  
সহস্র পাঁজর কথা কয় দগ্ধ আলো জয়ের উতস হয়।
প্রিয় জয়, তুমি কি দেখতে পাও এদেশের ইতিহাস বলেঃ জয় কোনও ভয়ে নত নয়
এদেশের সব নদী সব হৃদি বলেঃ জয় কোনও ভয়ে নয়।