একদিন আমি থাকবো না,
জোঁছনায় কাক ভেঁজা হয়ে তোমার দুয়ারে দাঁড়াবো না।
ম্লান হেঁসে কলমীর লতার মত তোমার জড়াবো না বাহুর আলিঙ্গনে।
মৃদু কন্ঠে উৎকন্ঠা নিয়ে আর ডাকবো না তোমায়।


হাওয়ায় দোল খাওয়া ধাণের শীষে,
অথবা
পাল তোলা নৌকার মাস্তুলে
আর বসে বসে আনমনে গান গাইতে শুনবে না।


বৃষ্টির অস্ফুট কাঁন্নার মাঝে,
গর্জে উঠা মেঘেদের বারনেও
আমি আর ঘরে ফিরবো না।


আমি থাকবো না,
আমার পায়ের স্পর্শে ঘাসেদের ঘুম ভাংবে না
পাখিদের দলে আমায় নিয়ে উৎকন্ঠা ছড়াবে না
শব্দ করে কোন বুণো প্রান তাড়া করবে না।


থাকবো না বলে,
ক'ফোঁটা নোনা জলের উৎস কমে যাবে।


থাকবো না বলে,
তীরের বালিতে পদাঙ্ক মুছতে হবে না ঢেঁউয়ের।


থাকবো না বলে,
রাতের আধাঁরে জোঁনাই গুলোকে আর তাড়া করবে না কেউ।


থাকবো না,
তবু সময় থামবে না।
মুখের হাঁসি, শীতের স্রোতের কাপঁন কমবেনা কিছু।
সূর্যাস্তে বা রাতের শেষের এতটুকু হবে না বিচ্যুতি।
চাঁদের শেষ প্রভায় রাঙ্গাবে কারো মুখ,
অন্য কেউ কবিতায় বাঁধবে ঘর।
আমি না থাকলেও, অন্য কেউ থাকবে।
আমার শেষ বলে, সব নয় শেষ
শুধু থাকবে না ভালোবাসার রেষ
আমিই শুধু নেই,
আর থাকবে সবই পরে।