আকাশের চুল থেকে মেঘের ফুল ছিঁড়ে নিয়ে
চলে যায় উত্তুঙ্গু বাতাসের ঢেউ
বঙ্গোপসাগরের বুকের উপর দিয়ে মৌসুমি হাওয়ায়
আমার বুকের ভেতরের দীর্ঘশ্বাস মিশে গেছে কতবার
আমার অশ্রু আর সমুদ্রের ফেনার প্রভেদ বুঝবেনা
শঙ্খচিলের পালক খসে গেলে বুঝবেনা কবেকার
অন্ধকারে মরে গেছে গাঙচিল নাকি এক খয়েরী বক;


বুকের পাঁজরের নিচে ক্ষতের থেকে বেরিয়ে আসে যে
আকন্দের পাতা ছেঁড়া দুধ তাই পান করে বেঁচে আছে হৃদয়
নীলকন্ঠী সেই পাখির মুখ ভুলে থাকি তবু কাঁদাখোঁচার মত
খুঁচিয়ে খিঁচিয়ে তোলে পুরাতন ব্যাথা ধমনীর গাত্রে গাত্রে আর
শিরায় শিরায় জেগে ওঠে হিমালয় শোক।


অশোকের পাতা ঝরে যায় বটের ফল পড়ে রয় ঘাসে
তারই দু' চারটি হাতে নিয়ে চলে যায় পথিক উত্তরের
শালুক বিলের মরা বুক চিরে উত্তুরে হিম বাতাসে
কেঁপে ওঠে ব্যাথাতুর চোঁখ সন্ধ্যার আবছা আধারে
কারে যেন ডেকে নেয় গোধুলির আকাশ মলিন হলে পরে।