হাজারো অস্তিত্বের মাঝে মন শুধু তোমাকেই খোঁজে,
সেই চিঠিগুলো আজও প্রাণবন্ত বইয়ের পৃষ্ঠার ভাঁজে
মন খারাপের দিনে আনমনে চিঠিগুলো ঘেঁটে দেখি;
কি কারণে শেষ হলো সব? এরই উত্তর খুঁজে ফিরি।
কিন্তু কখনোই উত্তর আসে না,আসবেও না জানি,
বিষাদের মেঘ হয়ে ঝরে অবিরত জমে থাকা গ্লানি।
দুটি হৃদয় আজ পৃথক হয়ে কিভাবে নিজের মত বাঁচে?
জীবনের দিক পরিবর্তন হয়ে গেছে অবিরাম অন্য কোনো ধাচে।
সেদিনের ঝগড়ার কথা আজ অকারণে বড্ড মনে পড়ে,
অকর্মণ্য মস্তিষ্কের অতলান্তে ছিল ক্লান্তি,চাপা কষ্ট অন্তরে।
অত্যন্তিক ক্রোধের উন্মাদনায় হতবিহ্বল ছিলাম দুজন,
নিমিষেই সাজানো স্বপ্নগুলো চুরমার সাথে অসহনীয় দহন।
দুজন দুজনকে ত্যাগ করলাম সারাজীবনের জন্য,
দুজনের চোখেই দুজন হয়ে গেলাম সর্বাধিক ঘৃণ্য।
মনের গহীনে নিজেকে বোঝালাম,"এইতো আছি এখন বেশ"
ক্রোধের বিলীনে হঠাৎ মনে হলো শেষ হয়েও কি যেন হয়নি শেষ।
ক্রমশঃ দুর্বল চিত্তে তার অবয়ব প্রতি সেকেন্ডে ভাসমান,
তাতে কি? যা হবার হোক,আত্মসম্মান আমার পাহাড় সমান।
চব্বিশ ঘন্টা পরেও কেন যেন সব শুন্য মনে হয়,
মুঠোফোনটা হাতে নিয়ে শুধু ভুগতে থাকি দ্বিধায়।
অবশেষে মনকে শান্ত করে নিজেকে ব্যর্থচিত্তে বোঝালাম,
মেয়েটি হয়তো আমায় ভুলে গেছে,নয়ত কেন সে নির্বিকার?
মস্তিষ্কের নিউরনগুলো এ ডাকে সাড়া দিয়ে জানালো আমন্ত্রণ,
ঘুণাক্ষরেও প্রশ্ন জাগেনি,"মেয়েটিও কি দ্বিধায় ঠিক আমারই মতন?"
দিন-সপ্তাহ চলে গেল,এভাবে কেটে গেল মাসের পর মাস,
আমি ছিলাম নিশ্চুপ,মেয়েটিরও পেলাম না কোনো আভাস।
মহানিশায় বিচলিত মন আমার হঠাৎ ডুকরে কেঁদে ওঠে,
আত্মসম্মান বিরাজমান,ভালোবাসা আজ তাই রিক্ত দৃশ্যপটে।
মনের মানুষটা আজ নেই পাশে তাই একলা ফিরছি নীড়ে,
নীলাম্বরী মেয়েটিকে খুঁজিনা যে আর নিজ হৃদয়ের প্ল্যাটফর্মে।
মান-অভিমানে অন্ধত্ব বরণ করে দুটি আত্মাই আজ পথভ্রষ্ট ,
আত্মিক পরিতৃপ্তি তাই আজ আত্মমর্যাদার বেড়াজালে আবিষ্ট।
ভাবতে চাইনা তাকে আর আমি,মানতে চাইনা কিছু,
নিজের কাছেই অজানা কারণে নিজের মাথানিচু ।
অন্তর জুড়ে শুধু একটাই আফসোস আমার,চাইনা কোনো মাফ,
উপসংহারে প্রাণাত্ময় হলো ভালোবাসার,বিদ্যমান শুধু আত্মমর্যাদার অটোগ্রাফ ।।