অনেক দিন পর তোমাকে লিখছি --
কেমন আছ তুমি ? তোমার সংসার ?
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে
এখনও তোমার কবিতা পাঠ করি
তুমি ভাবছ বাড়িয়ে বলছি, কিংবা রঙ ফলিয়ে
সে দোষ তোমার নয়, আমার নির্লজ্জতার।
আমার বড় অসুখ --
স্বামী-পুত্র সবাই নিজের নিজের
এ-সংসারে আমি বড় একা,
এসেছিলাম উনিশে পা রেখে
আজ চল্লিশের দরজায়।
কাজ শেষে দুপুরে খাওয়ার পর
যখন ম্যাগাজিনের পাতা ওল্টাই
মনে পড়ে পুরনো দিনের কথা,
লেখালেখি নিয়ে তোমার সাথে
আমার ঝগড়ার দিনগুলো --
আর মনে পড়ে কলেজ পালিয়ে
তোমার সাথে বইমেলা, থিয়েটার আর ইডেনের মাঠ
কলেজের দু 'টো বছর কেটে গেছে অকস্মাৎ।
সময় কে বেঁধে রাখা যায় না বলে
তুমিও তারই স্রোতে ভাসমান।


এই দেখো, যে কথাটা লিখব
সেটাই ভুলে যাচ্ছিলাম,
আলমারী খুলে বিয়ের শাড়ীতে টান দিতে
পড়ল একটা রঙিন বাক্স,
তারই মধ্যে একটা সাদা কাগজ
আর সঙ্গে একটা রঙিন কলম।
কাগজে শুধু আমারি নাম লেখা !
কুড়ি বার - না আরোও বেশি লিখেছ তুমি !
কেন কবি ? কি বলতে চেয়েছিলে আমায় !
তবে কি  সুনীলের 'নীরা'  অথবা
জীবনানন্দের 'বনলতা', কে আমি ?
দিনের আলোর মত সত্য, গভীর আর
প্রাণজ্জ্বল তোমার ভালবাসা।
ব্যর্থ কুড়ি বছর পর সে ভুল আমারও।
তোমার না বলা কথা গ্রহণ করে
আজ আমি বড় ঋণী,
ইতি তোমারি লাবন্য। ....