আমার প্রিয়জন আমাকে ধোঁকা দিয়ে চলে যাওয়ার পর, আমি পাগল ও দিশেহারা হয়ে বলেছিলাম তাকে ছাড়া আমি বাঁচবো না। কিন্তু যখন জানতে পারলাম প্রতিপালক বলেছেন ‘তুমি আমার চেয়ে যাকে বেশি ভালোবাসবে, আমি তোমার কাছ থেকে তাকে কেড়ে নেব। এরপর আমি বুঝতে পারলাম যে এতদিন আমার চিন্তা ভাবনা ভুল ছিল। এখন আমি আমার প্রতিপালকের পথে হাঁটি, এবং দেখেছি মানুষ ধোঁকা দিলেও তিঁনি আমাকে ধোঁকা দেননা।


এরপর আমি আরও দেখেছি তিঁনি মানুষকে কত ভালোবাসেন, তিঁনি কত দয়াবান, তিঁনি ক্ষমাশীল, তিঁনি সুন্দর ও উজ্জ্বল। তিঁনি বললেন ‘তুমি এতদিন এই সুন্দরকে অবহেলা করেছ, তোমার আপনাতে থাকা অমূল্য সম্পদ রেখে দুনিয়ার মোহমায়ার পিছে ছুটেছিলে, অসুন্দরের পূজায় তুমি ব্যাকুল হয়েছিলে।


এরপর তাঁকে আমি বললাম, হে আমার প্রতিপালক আমি কি ক্ষমা পেতে পারি? তিঁনি বললেন ‘যে আমার জন্য কাঁদে, চোখের পানি ফেলে, তাকে আমি ক্ষমা না করে থাকতে পারিনা। তিঁনি আমাকে ক্ষমা করলেন, তাঁর জগতে নিয়ে গেলেন। আমি সেখানে গিয়ে দেখলাম সুন্দর চরিত্রের অধিকারী প্রতিপালকের প্রেমিকগণেরা অতি সাধারণ ভাবে জীবনযাপন করছেন, তারা অনেক সুখী এবং হাসিমাখা মুখ তাদের।


এরপর আমি সে সুখী মানুষদের জিজ্ঞেস করলাম, আপনাদের দুঃখ নেই? তারা বললেন ‘হিংসা অহংকার লোভ লালসা দুনিয়ার মোহমায়া ও কাম বাসনা ছেড়ে যে বা যারা নিজের হৃদয়ে প্রতিপালকের এশক সৃষ্টি করতে পেরেছে তাদের ইহকালে ও পরকালে রয়েছে সুখ। আর দুঃখ হচ্ছে তাদের সাধনা পথের পথপ্রদর্শক, তাই প্রতিপালকের প্রেমিকগণেরা দুঃখ নিয়ে চিন্তিত নয়।


এরপর আমি ফিরে আসলাম, আমি দেখলাম তাঁকে ছাড়া দিনের আলো আমার কাছে রাতের আঁধারের চেয়েও অন্ধকার। তাঁকে ভালোবাসার পর আমি জানতে পারলাম প্রতিপালকের এশক কত শুদ্ধ ও সচ্ছল পানির মতো পবিত্র। যে পানি পান করলে মানুষের অপবিত্র হৃদয় পবিত্র হয়ে যায়। তাঁকে ভালোবেসে ক্ষতি হয়নি বরং আমি হয়েছি লাভবান ও মহা সম্পদের অধিকারী।