বেতন পাই বেতন নাই বেতন চাই, নীল পোশাকদারিদের গুলিতে মৃত্যু তাই!
গুলি করা সহজ, সহজ নয়তো জীবন,
যে জীবন নিয়েছিস কেড়ে, পারবি কী ফেরত দিতে?
টকশোতে বসে নীতি কথা, বন্ধ কর শালার বেটা,
কোন কালে পেয়েছে শ্রমিক বিচার!
তোদের পকেট করিস ভারি, আমরা শ্রমিক না খেয়ে থাকি, না খেয়ে মরি।
তোদের এত নীতি কথা, শ্রমিক পায় না ন্যায্য টাকা,
মুচকি হাসিস খেয়ে দামি চালে, সোনার হার কার গলে?
শুনে কথা কাঁপে বুক, তোদের কাঁপলো না হাত,
করলি গুলি শ্রমিকের বুকে, কীসের দায়িত্ব অর্থের লোভে।
এই শ্রমিক কারো ভাই কারো পিতা, কারো ঘরের হয় তিনি দেবতা,
তাঁর ঘাম ঝরানো আয়ে, কয়েকটি জীবন বাঁচে,
সে জীবন নিলি কেড়ে, পারবি কী ফেরত দিতে?
জিজ্ঞেস কর তোর বাবাকে, টাকা আসে কোথার থেকে,
এই শ্রমিকের ঘাম ঝরানো টাকা, তোর গায়ের নীল পোশাকটা,
তোর হাতের বন্দুকটা, মাস শেষে তোর বেতনটা।


-২


তোমার বাড়ির কুকুর বেড়ালের যে কদর আর আদর
এই দেশের সাধারণ মানুষের প্রতি নাই সে আদর আর কদর,
শ্রমিকের বুকে চালায় গুলি নীল পোশাকদারি!
কেমন তোমার ভালোবাসা কেমন তোমার মায়া,
দাবি করো তুমি মানবতার ছবি বা দেবী
বিচার করে দেখাও, তোমার বিরুদ্ধে কবিতা লিখবে না কবি।
হ্যাঁ, শ্রমিকের ঘাম ঝরানো টাকা, মাস শেষে সরকারি কর্মচারীদের বেতনটা।