তসলিমা নাসরিন ছিল প্রেমিকা হিসেবে সেরা,
তার মত একটা প্রেমিকা পেলে আমি হয়ে ওঠতাম রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ।
আমিও লিখতাম ‘ভালো আছি, ভালো থেকো
আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো।
আমিও লিখতাম ‘আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ।
আমিও লিখতাম ‘জানি চরম সত্যের কাছে নত হতে হয় সবাইকে- জীবন সুন্দর।
আমিও লিখতাম ‘বেদনার পায়ে চুমু খেয়ে বলি এইতো জীবন।
আমিও লিখতাম ‘সেই যে আমি প্রত্যেকে একা হয়ে গেছি।
আমিও লিখতাম ‘আমি তোমার জন্য লিখি, কিন্তু তোমাকে কখনো লিখি না।
একটা প্রেমিকা পেলে আমিও হয়ে ওঠতাম প্রেমিক,
রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর মত ময়মনসিংহ কিংবা ছুটে যেতাম তার চেয়েও অধিক দূরে
আসতাম না আর প্রেমহীন সমাজে ফিরে।
প্রেমহীন মানুষ, প্রেমহীন হৃদয়, সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করে।
হ্যাঁ, একটা প্রেমিকা পেলে ফিরে যেতাম সেই আশি-নব্বই দশকে কিংবা আদি যুগে।
প্রেমিকার জন্য লিখতাম হাতের লিখা চিঠি,
ডাকপিয়ন বা পাখি নিয়ে যেতো আমার সে চিঠি প্রেমিকার বাড়ি।
এই আধুনিক যুগের ফেসবুক প্রেম, আর নয় ছয় কথা আমাদের মাঝে থাকত না
আমাদের মাঝে থাকত না প্রেমের নামে প্রতারণা।
প্রেমিকাকে দেখার বিরহে বলতাম তাকে ‘ভালবাসি, ভালোবাসার কথা।
হ্যাঁ, তসলিমা নাসরিনের মত একটা প্রেমিকা পেলে
আমিও হয়ে ওঠতাম রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ।
আমিও লিখতাম ‘দিচ্ছো ভীষণ যন্ত্রণা
বুঝতে কেন পাছো না ছাই
মানুষ আমি, যন্ত্র না!