হাসি মুখে দাও বিদায় যাবো আমি যুদ্ধে
বাংলা মাকে মুক্ত করে আসবো ফিরে তোমাদের বুকে,
শুনে সূফী সম্রাটের মুখের কথা কাঁদে পিতা কাঁদে মাতা
সূফী সম্রাট পাষাণে বেঁধে বুক, বাংলা মাকে দিতে সুখ
গেলো যুদ্ধে সঙ্গী সাথী ৭২জনকে সাথে নিয়ে।
পাকিস্তনী সৈন্যদের বিরুদ্ধে ২৬শে এপ্রিল ১৯৭১ শাহবাজপুরে
সূফী সম্রাট যুদ্ধ করে অস্ত্র নিয়ে নিজ হাতে,
সূফী সম্রাট ভারতের মাটিতে দুইটি মসজিদ করে নির্মান
২৭শে আগস্ট শুক্রবার সে মসজিদে মুক্তিযোদ্ধাদেরকে নিয়ে
সূফী সম্রাট করে জুম্মার নামাজ আদায়,
আল্লাহর রহমত চেয়ে মোনাজাত, ইমামতি করে সেদিন সূফী সম্রাট।
১৯শে নভেম্বর ১৯৭১সাল পবিত্র ইদুল ফিতর, উঠেছিল ইদের চাঁদ
‘ইদের চাঁদ ফিরে যাও তাদের কাছে
যারা আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে,
আমাদের আবার কিসের ইদ।
শুনে সেদিন সূফী সম্রাটের কথা, মুক্তিযোদ্ধরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে
বিচ্ছেদ যাতনায় মাটিতে গড়াগড়ি করে।
সূফী সম্রাটের ভবিষ্যৎ বাণী স্বাধীন বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।
‘আল্লাহর কসম! আগামী বকরা ইদের আগে দেশ স্বাধীন হবে
আপনাদের নিয়ে ইদুল আযহার নামাজ আদায় করবো আমি রেসকোর্স ময়দানে।
সেই ঘোষণার ২৭দিন পর বাংলা স্বাধীন হয়, ১৬ই ডিসেম্বরে বিজয়ের পতাকা উড়ে
সূফী সম্রাট রেসকোর্স ময়দানে ইদের নামাজের ইমামতি করে।
বাংলার প্রথম ইমাম সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী মহান,
জয় বাংলা বাংলার জয়, মুক্তিযুদ্ধে সম্রাটের অবদান কম নয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সূফী সম্রাট মাভৃভূমিকে মুক্ত করে, গেলো পীরের দরবারে
একযুগ গোলামি শেষে দায়িত্ব পেলো সূফী সম্রাট মানবজাতিকে মুক্তি দিতে।
সূফী সম্রাটের শিক্ষা নিলে, মুক্ত হবে সাড়ে তিন হাত মানব দেহ
ষড়রিপুর বেড়াজাল থেকে। তাই বলি
‘মাতৃভূমির জন্য যুদ্ধ করিয়া বিজয় যে অর্জন করিয়াছে সে বীর,
যে নিজের সাথে যুদ্ধ করিয়া বিজয় অর্জন করিয়াছে সে শ্রেষ্ঠ বীর।’
হাসি মুখে দাও বিদায় যাবো আমি যুদ্ধে
বাংলা মাকে মুক্ত করে আসবো ফিরে তোমাদের বুকে।