সময় মধ্য-বর্ষাকাল,
অথচ শ্রোতস্বিনী নদীটি বড্ড শান্ত
তার শ্রোতের টানে দুই ধারে ভাঙনের সুর বাজার কথা,
ঐ নিষ্ঠুর সুরে শত ময়নার ঘর ভাঙার কথা।
অথচ, পশ্চিমের আকাশে মেঘের কানামাছি খেলা
আকাশ নিজেও জানে না আর কত আছে বেলা,
হয়ত সময় আর নেই বলেই ফুলিয়েছে গাল
তার চোখের নিচে কালো-দাগ এবং চোখ দুটো লাল।
এবং গতকাল বৃষ্টি ঝরেছে অবিশ্রান্ত,
কিন্তু শ্রোতস্বিনী নদীটি অনেক শান্ত, বড্ড শান্ত।


অভাগা শ্রোতস্বিনী,
তার শ্রোতের টানে আসার কথা ইলিশের ঝাঁক,
কথা ছিল, ইলিশেরা ডিম দিয়ে ঘরে ফিরে যাক।
অথচ, তার শ্রোত এখন শুধু ইতিহাসের লাইন,
ধোঁয়াশা জলগুলো নতুন প্রভাতে হয়ত হবে বিলীন।
কে জানে? হয়ত নদীর বুকে জেগেছে বালুচর
এবং সে চরে শুকুনেরা বেধেছে আলিশান-ঘর
কেঁদে কেঁদে প্রপাতেরা হয়ত অনেক ক্লান্ত,
এবং হয়ত গতকাল বন্যায় ভেসে গেছে দিগন্ত,
কিন্তু অভাগা শ্রোতস্বিনী অনেক শান্ত, বড্ড শান্ত।