একদা বিকেলে ভাই বোন মিলে
আঙ্গিনায় খেলা করি
বিশাল করিয়া বৃত্ত বেঁধেছি
হাতে হাতে ধরি ধরি
এরই মাঝে দুই কানা মাছি নামে
আঁখি বেঁধে গামছায়
হাত তালি দিয়ে পলায়ন একে
অন্যে তাহাকে ধায়
বাঘ হরিণের মজার দৃশ্য
দেখেছিল সবে চেয়ে
হৈ হুল্লোতে মুখরিত উঠোন
আনন্দে গেছে ছেয়ে
এরই মাঝে এসে ছাহেরা খালা
সেথা দিল মাড় ঢালি
পুলকিত হৃদে কিশোর কিশোরি
দিতে লাগে হাত তালি
পালাতে ও ছুঁতে ছুটছে দু কানা
মারে খেলো লুটো পুটি
দর্শক সবে বৃত্ত ভাঙ্গিয়া
হেসে হয় কুটি কুটি
কত আনন্দ ঘন বিকেল এমন
পেরিয়েছি নানা বাড়ি
ভাইয়েরা আজকে বিশ্বে ছড়িয়ে
সেই মহা মেলা ছাড়ি
বোনেরা হয়েছে দুরের গৃহীনি
সংসারে খোঁজে সুখ
সাধনায় দেখে স্বামী সন্তানের
মধুমাখা হাসি মুখ
খালামনিদের সুখময় জীবন
প্রবাস ঘুরিয়া কাটে
নিবিড় গাঁয়ের সবুজ স্বপ্ন
অস্থ গিয়েছে পাটে
ধনে মানে জ্ঞানে পূর্ণ মামারা
তাদের জীবন গাঁথা
লিখতে গেলে শেষ হবে নিশি
ফুরাবে কালি ও খাতা।
মামীজী এখন ছেলে,বধু আর
নাতি নাতনির ঘরে
মুঠোফোনে তিনি আজকেও সদা
মোদের খুঁজিয়া মরে
দেরি যদি হয় খবর লইতে
কাঁদিয়া বলিবে ওরে!
স্বামী, সন্তান, সংসার পেয়ে
ভুলিয়া গিয়াছ মোরে?
আমি কিন্তু তোমাদের ভুলিনি
ভুলবনা কোন দিন
মাঝে মাঝে ভাবি কেমনে শোধিব
এমন মামীর ঋন।
শত সজনের বিয়োগ ব্যাথার
পাহাড় লইয়া বুকে
দিবস রজনী কাটিছে তাহার
হেসে কেঁদে সুখে দুখে।
বড় মামা ছিল বড়র মতই
সবে সম্মান করি
ছোট বেলা খানিক দুরে রইতাম
জোড়ালো কণ্ঠ ডরি।
বড় হয়ে এতটা আদর পেয়েছি
ভোলাতো যায়না তাকে
সে মামা এখন সবুজের তলে
নিরবে ঘুমিয়ে থাকে।