একদিন তোমাকে
সুদিনের ফাঁকে-
কণকচূড়া আর কৃষ্ণচূড়ার পার্থক্য দেখিয়ে ছিলাম-
সেদিন তব উচ্ছাস দেখে বিমোহিত হয়েছিলাম।


পড়ন্ত দুপুরের রোদের তেজটা যাতে
কোনভাবে তব তনুতে তাপদাহ না হয় সাথে,
সেজন্য নিজের গায়ের শার্টটা খুলে তোমার মাথায় দিয়েছিলাম
বুঝতে পারছো তখন- কতটা যত্নে আগলে রাখলাম।


রোমান্টিকতা, রসিকতা আর ভবিতব্য সুখের সংসার গড়ার স্বপ্ন- কল্পনা করতাম,  নির্জনতার সাহসে কতকাল যেন আলতো হাতটা শক্ত করে ধরে দুজনে সীমাহীন পথে হাঁটতাম-।


বারোটি বছর পরে
স্মৃতিগুলো আজও বাহুডোরে,
কৃষ্ণচূড়া আর কণকচূড়ার মাঝামাঝি এসে দাঁড়িয়ে
ঠিকঠাক চিনতে পারছি না অযাচনীয় তোমাকে হারিয়ে,
এখানে আসি অজান্তেই বারবার;
নিলম্বন করিনা আশা-
বক্ষে ধারণ তাড়নার।


কপোলকল্পনাতেও যদি কোনদিন দেখা মেলে !
আশ্বাসক হিসেবে নিজেকেই পাই এই মহাকালে।


কবিরা আমার দু'দিকে ভীর করে,
ভাগ্যকে মেনে রাখি দৃষ্টি পরপারে।


যেখানে কিছুই নিয়ে আসিনি
হারাবার কথাটি তাই সূতোয় বাঁধিনি।


কবিরা জানতে চায়-
নিখাদ সহমর্মিতায়;
তোমার বিয়ে হয়েছে নাকি
প্রতারণা বা দূরত্বে অবস্থানে দিচ্ছো ফাঁকি,
চিরতরে চলে যাওয়ার
হয়তো বিষম বেদনার।


এক কথায় বলেছি-
খাঁটি করবার মানসে জ্বেলেছি
তুমি করেছো অভিমান
তাই অস্থিরতায় ডিপ্রেশন।


কাউকে হারাবার পর
সৃষ্টি হয় দূর্বলতার,
ছোটখাট ভুলগুলো
করে দেয় এলোমেলো;
হয়ে যায় যেন মহাভুল
মন খারাপের বদ্ধমূল।


আজ আমার মন ভালো নেই
কিছু সময়গুলোকে ভুলতে পারিনা কোনভাবেই,


ভীর করে ভুলের অনুশোচনা
হতাশার অদৃশ্য যন্ত্রণা
সংসার ভেঙে ভালোবাসা কিংবা ভালোবাসা ভেঙে সংসার চাইনা কোনটাই,
অপূরণীয় অন্তকরণে অভিনয় করে মানিয়ে নেওয়াটা শিখে নিই-।