ইদানীং আমি দিনের বেলা
ঘুমাই; যদিও সেটা স্বাস্থ্যের পক্ষে স্বাভাবিক নয়।
দিনের বেলা ঘুমানোর কারণ হলো-
সমস্ত রাত্রিতে হেঁটে হেঁটে
খুঁজে চলি তোমাকে-।


রাস্তার পাশের কিছু দোকান খোলা থাকে
সেগুলোতে চা আর সিগারেটের আড্ডাই চলে-।
কখনো ওভারব্রীজের পাশে শুয়ে থাকা পাগল গুলোকে দেখে ভাবি
মানুষ কি ইচ্ছে করেই
এমন ছদ্মবেশ ধারণ করে?
জীবনে অনেক কিছুই জানবার আছে
অনেক পরীক্ষার পর তো কেবল
ভালো জীবনের সুযোগ পাওয়া যাবে।
আমি হেঁটে চলি-
কেউ আমাকে কিছু বলে না
শহরের পথে কেউ কারো পরিচয় জিজ্ঞেস করেনা।
মাঝে মাঝে পুলিশের টহল ও নেশায় বুদ হয়ে থাকা মানুষ গুলোকে চোখে পড়ে।
উভয়ে কিছু বলে না-
সবাই চেহারার প্রতি তাঁকিয়ে
কিছু না বলেই চলে যায়
আমার মাঝে অলৌকিক কোন ব্যাপার কাজ করে কিনা নিজেও জানিনা।
মাঝ রাত্রিতে সুন্দরী ওয়েস্টার্ন নারীদের হাতছানি আমাকে
পথভ্রষ্ট করতে পারেনা।


শহরের সোডিয়াম লাইট গুলোকে ছাড়িয়ে ভীষণ অন্ধকারে তোমার পাশে চলা অনুভব করি-।
দীর্ঘ অভিমানের কয়েকটি বছর পার হয়ে গেলো।
এই শহরের কত অলি-গলিতে দুজনের স্মৃতি বিজড়িত তা অবশ্য উপেক্ষা করতে পারবে না।
সেসব ভুলবার ভান করে আবার স্মৃতি সৃষ্টি করতে পারো অন্য কারো হাতটা শক্ত করে ধরে।
হয়তো কারো সাথে এভাবেই চলবে-
শহরের পথে দ্বিধা নেই
সংকোচ বা সংবরণের মাত্রাও নেই।
তোমার চেনা শহরে আজও হেঁটে চলি
তবে তব চেনা হৃদয়ে হাঁটার আজ অনুমতি নেই।
অধিকার নেই
যেখানে সম্পর্কের ভাঙন সেখানে কিছু পাবার আশা করাটা সমীচীন নয়।
আজ আমি অচেনা মানুষ
যেখানে তোমার বসবাস নেই
সেখানে আজও একা একা পথ চলি-
যদি কোনদিন ভুল করে
ভুল পথে ভুল কোন সময়ে
অকস্মাৎ দেখা হয়ে যায় দুজনের !
বলবো, আজও প্রতীক্ষায় আছি
ফিরে আসতে পারো;
সবকিছু শেষ হয়ে যায়
হৃদিতলের উতল আবেগ নিঃশেষ হয়না কখনোই।