আমরা প্রত্যেকে নিজেদের একে-অপরের বলি;
প্রকৃত পক্ষে কেউ কারোর নই।
প্রত্যেকে বলি, আমার মাঝে অনেক কিছু কিংবা আমি সমৃদ্ধ বা সম্পূর্ণ।


তাহলে মানুষের মাঝে শুন্যতা আসে কেন?
কেন নিরাশা, অভিমান, অভিযোগ, ক্ষোভে হৃদয় চূর্ণ হয়!
কেনইবা এক সময় নিজের জীবনের প্রতিও বিতৃষ্ণা আসে?
সত্যিকার অর্থে কারো মাঝে কিছু নেই বলেই তো কেবল
আমরা প্রত্যেকে শুন্য বা খালি।
সেখানে একজন প্রিয়তম কিংবা প্রিয়তমা কিভাবে একে-অপরকে
পূর্ণ করবে?
কেউ কাউকে পূর্ণতার স্বাদ দিতে পারিনা আমরা।
অথচ মিথ্যে আশ্বাসবাণীতে অপরকে নয়, কোনসময় নিজেকেও নিঃশেষ করে ফেলি।
সমস্ত পৃথিবীতে প্রত্যেক মানুষই
একা একা। কেউ দলবেঁধে আসেনি এবং দলবেঁধে যাবেও না।
কারো সাথে কারো সম্পর্ক নেই;
সম্পর্ক শুধু ঈমানের।
সম্পর্ক হলো, সাময়িক চলাচলের
এবং এক পরীক্ষার।


কেউ ব্যথিত হলে স্বান্তনার বাণী শোনাই। কিন্তু সে স্বান্তনা তার ব্যাথা ভুলে রাখার জন্যই;
সে ব্যাথা নিঃশেষ করার ক্ষমতা কারোই নেই।


অদৃশ্যের আড়ালে এক ও অদ্বিতীয় সৃষ্টিকর্তাই কুদরতের শক্তি দিয়ে প্রত্যেক হতাশ প্রাণকে শান্ত করতে পারে, পরিপূর্ণ তৃপ্তি দিতে পারে-। নিশ্চয়ই কুদরতের চেয়ে বড় শক্তি
আর কোথাও নেই।