এই বুকে যেরকম প্রশ্বাস ফেলতে
তার শব্দ এখনো যেন শুনতে পাই,
ইশারায় কাছে আসবার বাহানা করেছিলে
সেসব স্মৃতি গুলো মনে পড়ে।
যেখানে তোমার শৈশব-তারুণ্য কেটেছে-  
আগের মতো দখিনা হাওয়া পেতে
সিমেন্ট-পাথরের বেঞ্চিতে
মনভার হলেই সেখানে
একমনে বসে থাকি দীর্ঘক্ষণ-।
যদিও উপস্থিতি নেই,
তবে অনুভব করি-
অতীতের স্পর্শগুলো।
শুন্যতা আমাকে নিরাশ করে
ছেয়ে নিতে পারেনা কখনোই।
শীতের সকালে শিশিরবিন্দু
পায়ে পদদলিত করে
সতেজতা পাওয়া,
সেখানের দূর্বাঘাস গুলো
যেন আমার সাথে কথা বলে।
বারান্দায় ঝুলে থাকা
খাঁচার পাখি দুটোকে
মুক্ত করে দিয়েছি-
শুন্য খাঁচা আজ।
খরগোশের বাচ্চাগুলোও
আজ আঙিনায় নেই,
বকুলতলায় ফুল পরে থাকেনা
ডুপ্লেক্স বাসার ছাদ থেকে
এক আকাশ সহস্রবার ধরে
আজও দেখে যাই।
সবকিছু আগের মতোই
তবে সময়ের প্রভাবে পরিবর্তন হয়েছে খানিকটা।


দেখেছিলে নদীর কাশফুলে,
ছুটেছিলে বিস্তীর্ণ সরিষা ক্ষেতে
ও সূর্যমুখীর সাজানো প্রান্তরে।
তোমার পথচলার স্বাক্ষী রয়েছে
স্নিগ্ধ প্রত্যুষে, পড়ন্ত দুপুরে-শ্রান্তির বৈকালে,
নিস্তব্ধ গোধূলি কিংবা রজনীর নির্জনতায়
আগের মতোই নিয়ম করে চলে
অথচ তোমার উপস্থিতি নেই,
শহর জুড়েও হেঁটে চলি-
যেখানে ব্যস্ততম বিচরণ ছিলো
সেই ভার্সিটির ক্যাম্পাস,
রাস্তার পাশের ক্যাফে
ফুটপাতের ফুসকার দোকান
এদিক-ওদিকে
সন্ধান করি পুরনো সবকিছু ফিরে পাবার।
আজ তুমি নেই
কিন্তু অতীতের স্পন্দিত আবেগ এখনো বর্তমান।
তোমার যতকিছু ভালো লাগা
সবকিছুকে প্রাধান্য দিয়ে
চোখ বন্ধ করে
তব অবয়ব আঁকি-।
ভালোবাসার আবেশ জড়ানো
সেই চেনা মুখ
মায়াবী সুনয়না দৃষ্টি
প্রকৃতি চঞ্চলতা,
কখনো তব নির্বাক চাহনিই
বলে দেয় শত আবদার।


যে পথে হেঁটে গেছো
সেপথে আজও হাঁটি,
যেখানে বসে অবসর কাঁটিয়েছো
সেখানেই বারবার আসি-।
তোমার সবুজ রঙের শাড়ীটার সাথে মিল রেখে
গায়ে সবুজ শার্ট প্রায়ই পরি।
হাতের স্পর্শ পাওয়া
বই, কলম, ডাইরী সহ
আরও পুরনো অনেক জিনিস
বহুবার নাড়াচাড়া করি
গন্ধ শুঁকে নিই অসংখ্যবার।
ভালো লাগা অথবা মন্দ লাগা গুলো
আমাকে উদ্বেলিত করে
সীমাহীন আবেগে।


প্রায়শই যেসব পারফিউম
ব্যবহার করতে
নিঃশ্বাসে সেগুলোর ঘ্রাণ পাই।
যেসব খাবার পছন্দ করতে
সেগুলো নিয়মিত খাদ্যাভাস রেখেছি।


তোমার আমার অমিল বলতে
দুটি দেহ আর দূরত্বই কেবল।
দূরে থাকো
তবে চিরকাল দূরে থেকো না,
অনন্তকাল ধরেই
অনুভব ও উপলব্ধির মধ্য দিয়ে
তোমাকে অধিকার হিসেবে চাই।