আর কত লিখলে যে শান্তি পাবো?
আর কত পুড়লে যে মুক্তি পাবো?
আর কত হারালে যে শান্তি পাবো?
আর কত এগুলে যে একটু স্থির হবো?
রাতের মায়া জেগেছে/
একটু একটু করে শান্ত হয়ে আসছে সব/
ঠিক এই মুহুর্তে ভুলে থাকা যায়/
এমন করে চাইবার আগেই ঘুম আসবে ভাবিনি।
আমিও ঘুমাবো প্রশান্ত চিত্তে/
একাগ্র এ বেচে থাকার স্বার্থকতা চাই/
আমিও ক্ষমাহীন নিয়ন্ত্রিত হবো/
অনিকেত প্রান্তরে অশ্রু মেখে যাবো।
আমি প্রানপনে চাইলাম বেচে থাকি/
তুমি ঠিকই শুনলে আমার ফরিয়াদ/
আমি বেচে আছি তবে চোখে ব্যাথা নিয়ে/
আর কত কাদাবেন ঈশ্বর?
একটা মৃত্যু দেবেন ঈশ্বর?
যেই মৃত্যুতে প্রান খুলে বাচা যায়/
একটা মন দেবেন ঈশ্বর?
যেই মনে অবলীলায় ভালোবাসা পাওয়া যায়।
আমার বুকে এত কষ্ট কিসের?
আমাকে ত কেউ ভালোবাসেনি/
আমার মনে দুঃখ কিসের?
আমি ত কারো হতে পারিনি।
কি ভুল জন্মটাই না আমার?
আমি যা ছুতে যাই দুরে সরে যায়/
কি লাঞ্চনার ভালোবাসা আমার/
নক্ষত্রের মত উজ্জ্বল চেয়ে থাকে একপাশে।
প্রত্যেকটা কবিতার শপথ/
আমি খুনী হবো/
আমি মেতে উঠবো বিভাজনে/
আমি নরকের রাজার প্রান কেড়ে নেবো।
আমি তো চাই প্রবল ঝড় আসুক/
আমার সবকিছু কেড়ে নিক /
আমার বুক জুড়ে কিসের যেন শুন্যতা/
একটা রক্তাক্ত জবা হাতে নিরেট দাঁড়িয়ে।
এখনো কি জড়ো হয় বিষাদ?
অনিয়মের স্বাদ ডুবে যাবে সহজেই/
আমার ত আক্ষেপ নেই/
আলো আধারের নিশিকাব্য চোখ জুড়ে।
আসলে সত্যিকারের ভালো থাকা নেই/
একটা একটা করে বিভাজনের সুরে মেতেছি/
অবলীলায় উন্মাদ সময়ের প্রেমে পড়েছি/
আরো কিছুকাল বাচার সময় আসবেই।
বিস্তীর্ণ এই পথের উত্তর জানা নেই/
অগনিত শিহরণ আমার বুকে নেই/
ভুল করার অভ্যাসটা আজও একই /
আমার পৃথিবীটা ঘুম দিয়েছে কবেই।