আমি নাহি দিবো তোমাদিকের বাঁধা,
যতই করিবে তোমরা আমায় রক্তাক্ত,
আমি যে তাহারই উত্তম সৃষ্টি,
তাহারই প্রার্থনায় পাই সুখ,
হে  ভ্রাতা,
তিনি আমায় দিয়াছে যে চৈতন্য-বিবেক-নেতা,
আমি যে মানুষ-জন্তু নহে,
হে দাতা,
তোমরা কি পাওনি এখন ও সেই সিমানার দেখা,
যেথায় রাখিয়াছ তোমার বিবেক-বুদ্ধি-চৈতনা বাঁধা,
কত কাল আর জন্তু হয়ে থাকিবে-মানুষেতে লেখাও আখ্যা জীবন যুদ্ধের এই খাঁতা,
এসো-এসো মানুষের প্রণালীতে,
এথায় রাখিয়াছে পৃথিবী তোমাদিকের জন্য নতুন দিনের উজ্জ্বল বর্ণালী,
তুমি যে সেই সৃষ্টি,
মানবের চোখে থাকা করুন-হা’হা’কার উৎকন্ঠার দৃষ্টি,
এই সৃষ্টি-সত্তা দেখিয়া-ও-রুদ্ধ করিতে পার জ্বলন্ত অমানুষ,
ধ্বংস করে দাও তোমার মাঝে থাকা উন্মাদ দানুষ,
বন্ধ করিয়া দাও ত্রাস সঞ্চার,
খুলিয়া দাও শান্তির সকল দরজা-কপাট-দ্বার।