এসো, এসো প্রিয়তমা-
পাশাপাশি বসে, দেখি যবনিকাপাত|
সেদিন রাস্তায় হঠাত দেখা না হলে,
কি এতটা এগোনো যেত?
ভেবে বল, লুকিযো না কিছু!
এমন তো রোজ হয়না, গোপন স্বপ্নে বা বাস্তবে|
কতগুলো প্রহর গুনেছি বল?
কত বাজে কথা আপন মনে বকেছি|
আর কষ্টকল্পনায়, তোমাকে জড়িয়ে শুয়ে থাকা!
তোমার মুখটা তো ভুলেই গেছিলাম প্রায়,
শুধু আশ্চর্যভাবে(নাকি নয়!),
তোমার সুডৌল স্তনেদের কথাই মনে ছিল|
তা সত্ত্বেও চিনতে পারলাম কারণ,
তোমার ব্যবহার করা সুগন্ধি কস্তুরীর রেশ,
দশ বছর পরেও নাকে লেগে আছে|
আশ্চর্য মৃগনাভি-
হরিণী ও শিকারীকে একসাথে পাগল করে তোলে|
ভুমিকা অদল বদল হয়ে যায়!
ক্ষনেকে পুরুষ, ক্ষনেকে নারী|
অথবা নির্জীব ক্লীবত্বেভাসমান|
এর মাঝে ফিনিক্স পাখির মত জ্বলে উঠে,
নিজের হৃদয় থেকে চুমুক দিয়ে পান করি-
তোমার রক্তের আস্বাদ|
তোমার নখের থেকে নেল পালিশ,
আমার পিঠের আচড় হয়ে বসে গেছে|
তোমার ওষ্ঠের থেকে রক্তিম রং লেগেছে আমার বুকে|
চুম্বনে ও কামড়ে|
এইরকম অনেক হলে,
পাশ ফিরে বা সোজা হয়ে,
চোখ বুজে ঘরে ফেরা|
তীব্র ভাবে বেঁচে থাকতে এটুকু মূল্য চোকাতে হবে|