নীরব কোনো রাতে
সোডিয়াম লাইটের হলুদ আলো দেখে
হুট করেই কি ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়তে ইচ্ছে করে?
জেনে-শুনে বেখেয়ালী কারো হাত ধরে?
কিংবা সে বোহেমিয়ান জেনেও,
তার কাঁধেই মাথা রাখতে?
অথবা
যাযাবরের মতোন নির্বোধ তার চোখে চোখ রেখে
কি?খুব আবেগ নিয়ে বলে দিতে ইচ্ছে করে “ভালোবাসি”?
তার বোহেমিয়ান হওয়ার প্রবল ইচ্ছা কে
“ভালোবাসি” কথা দিয়ে সংসারী করে তুলতে ইচ্ছে হয় না একবার ও?
জানি,তোমার খুব ইচ্ছে করে,
নির্ঘুম লাল চোখ,পোড়া ঠোঁট,উশকোখুশকো চুল আর খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি ওয়ালা একটা মানুষকে খুব করে বলতে “ভালোবাসি”।
তোমার এটাও ইচ্ছে করে কোনোদিন যদি,
বুকে প্রচন্ড সাহস সঞ্চার করে সে বলেই বসে,
“চলো  তবে হারিয়ে যাই।“
তবে তুমি নির্দ্বিধায় হারিইয়ে যাবে তার হাত ধরে।
আচ্ছা!ধরো,যদি প্রচন্ড কর্মব্যস্ত দিনের শেষে,
চোখে-মুখে ক্লান্তি নিয়ে বিছানায় সবে গা এলিয়ে দিয়েছো তুমি,
ঠিক তখন,ঠিক তখন-ই যদি?
হঠাৎ ফোন টা বেজে ওঠে আর ওপাশ থেকে কেউ বলে ওঠে,
“সোডিয়াম লাইটের আলোর  নিচে তোমায় খুব নিষ্পাপ লেগেছিলো”
তোমার বুকে কি সামান্য ব্যথা হবে?
কিংবা তুমি কি ছটফটিয়ে মরে যেতে থাকবে?
শুধু একবার,
সদ্য যৌবনে পা দেয়া সেই মানুষটার উন্মত্ত আর উত্তাল বুকে মাথা রাখতে?
অথবা তুমি কি চাইবে তার পোড়া ঠোটঁ জোড়া শুষে নিক তার জন্যে তোমার বুকে জমানো পৃথিবীর সমগ্র প্রেম?
যদি তার সব প্রশ্নের উত্তরে তুমি ছোট করে বারবার বলো,”হুম” কিংবা “হ্যাঁ”
যদি তাই হয়,
যদি উত্তাল বুকটায় খুব করে মাথা রাখতেই ইচ্ছে হয়
যদি খুব বেশিই ইচ্ছে হয় তার পোড়া ঠোঁটের ছোঁয়ায় পূর্ণ হতে,
অথবা সপ্তাহ জুড়ে একই শার্ট পড়া তার গায়ের গন্ধ মাখতে,
তবে আর লুকোচুরি কেন?
তুমি কোনো ভোররাতে না হয় চলে এসো
বলে দিও না হয় “ভালোবাসি”
পোড়া ঠোঁট জোড়ায় বৃষ্টি নামিও নিভৃতে,নিঃশব্দে আর নির্ভয়ে
সে তো সারারাত জানালার ধারেই বসে থাকে।।