আমাদের কবিদার পন্ডিতি কবিতায়,
একে ওকে শুনিয়ে তা;সকলের মাথা খায়।
কবিদার কবিতায় দিন এসে দিন যায়,
তবুও সে কবিতার শেষ হয়ে শেষ নাই।
লাইনে লাইনে তার মিল হয় বারোবার,
এই নাকি পরিচয় কবিদার কবিতার!
একদিন কবিদা ছুটে এসে ঘরেতে,
ঝুপ করে লাফ দিয়ে বসে পড়ে মোড়াতে।
মাথাখানা দুলিয়ে এপাশ আর ওপাশে,
কবিতার খাতা হাতে বলে মুচকি হেসে।
লিখেছি ভাবের ঘোরে সরেস এক কবিতা,
মনের মাধুরী তাতে;রসে ভরা চিড়তা!
এই কথা শুনে মোর হাতখানা বাড়িয়ে,
তার হাত হতে তাহা নিলাম আমি ছাড়িয়ে।
পড়ে দেখি কি ভীষণ ভাবাবেগে ভরপুর,
পদে পদে জুড়ে দেয়া মারামারি ভাংচুর।
কবিতার উপমায় আছে দেয়া বালিকা,
আরো আছে সাইনাস;কোষে জোড়া জালিকা।
সাথে দেয়া কাদাভরা আকাশের ফর্দ,
মেঘজোড়া মাঠে তাতে ঘোড়া হাকে মর্দ!
আর আছে কেজি কেজি সন্দেশ মিষ্টি,
বসন্ত দিনে আছে পাতাঝড়া বৃষ্টি।
আছে তাতে ঝালমুড়ি; আর আছে প্রেমিকা,
সবশেষে জুড়ে দেয়া কবিতার ভূমিকা।
গুণে দেখি সবমিলে লাইন হলো তেরোটা,
এই শুনে কবিদার বেজে গেলো বারোটা।
অবশেষে মিলহীন কবিতার সবই তা
কবিদার গুঁতো খেয়ে মরে গেলো কবিতা।।




প্রথম প্রকাশ
২৩/০৫/২০১৪