দুটি কৈফিয়ত:


* কবিরা গল্প লিখতে গেলে কি কবিতা হয়ে উঠে? একটা গল্প লিখতে চেয়েছিলাম - কবিতার মত লাগছে। তাই দশ পর্বে ভাগ করে এখানে দিচ্ছি।


* আসরে ইদানীং নতুন কবি এসেছেন অনেক। আমারও সময় কম অথচ নতুনদের উৎসাহিত করা উচিৎ। পাতায় যেটুকু সময় দিতে পারছি, আপাতত নতুনদের জন্য বরাদ্দ রাখছি, পুরনো বন্ধুদের কবিতা পড়লেও মন্তব্য দিচ্ছি না। তাই আপাতত আমার পাতার মন্তব্য বন্ধ রাখছি।
__________________________


বানভাসি হৃদয়ের কান্না-২


স্বপ্নগুলো ভেবে ভেবে যখন শিহরিত হতে
আমিও হতাম - কখন তুমি আমার হবে?
স্বপ্নের সারথী - আমার বংশবদ; চলবে
ঠিক আমার স্বপ্নের পথটি বেয়ে।
কিন্তু খরস্রোতা নদী যে তটিনীর আকাঙ্ক্ষা বোঝে না!
তা কি জানতাম সেদিন?


তাইতো আমার স্বভাবগত বৃত্ত-বলয়ের বাইরে
ফিরে দেখার কোনও তাগিদ বোধ করিনি কখনো।
যেমনটি ছিল আমাদের যৌথ পরিবারে;
বাবা-মা আর ঘরভরা ভাই-বোন
সবাই ছিল আমার একনিষ্ঠ অনুরক্ত -
আমি ছিলাম সুখের পালে হাওয়া লাগা স্বপ্নের ভরা তরী।


কথার ফাঁকে ফাঁকে তুমি স্বপ্নের জাল বুনতে
আর সেসব স্বপ্নে আমাকে জড়াতে।
আমারো স্বপ্ন ছিল তবে তা আমার মত করে।
একান্ত স্বপ্ন বুঝি একটাই ছিল;
আর তা হল তোমায় একচ্ছত্র দখলে পাওয়া, করায়ত্ব করা।


বলো, তা কি আমার দোষ ছিল?
কে না-চাইবে মিষ্টি আমের স্বাদ নিতে?
আম যত মধুরই হোক, কেউ কি আঁটি সমেত খায়?
আমিও বুঝি তেমনটিই চেয়েছিলাম?
আঁটি ফেলে আমের মধু-রসটুকু...


আজ বুঝতে পারি,
পতঙ্গ আগুনে আহুতি দেয় কেন?
সে জানে না;
আলোর ঔজ্জ্বলতা কেন তাকে টানে এত!
চোখ ধাঁধানো আগুনের লেলিহান শিখা -
যতই জীবনঘাতী হোক,
পতঙ্গ কিন্তু ভালোবেসেই ঝাঁপ দেয়।


যেমন আমিও ঝাঁপ দিয়েছিলাম, ভালোবেসেছিলাম;
আগুনের আঁচে দগ্ধ হতে নয়,
আগুনের প্রোজ্জ্বল আলোয় উদ্ভাসিত হতে।
কিন্তু নিটোল বাস্তবতায় -
গনগনে আগুনের আঁচে আমাকে পুড়ে মরতে হল!
জানি না - কেন? কোন সে অপরাধে?