দেশে কি পরবাসে ঝিমধরা রাতগুলো ঝুপ করে নামে
সূর্যটি আড়াল করে দিগন্ত আবিরে ঢেকে
চুপিসারে যদি সে নিদ্রাটি কেড়ে নিতে আসে
আর দুচোখের স্বরলিপি অপাঠ্য মতিগতি
জেগে থাকে ঘুমহারা আঁখিপল্লব।


বিষাদিত হরষ গীতে প্রীতি কি বা বিদ্বেষে
কী করে জানাবে তারে অনাদায়ী কুর্ণিশ?
জাগতিক সীমানার বলিরেখা ভেদ করে
বিলাপে বিরহ সুরে আঁধারের স্রোত কেটে 
আঁখিতারা চাঁদ হয়ে রাতভর কেন ফুটে রয়?


নিঃঝুম বিলাসী ব্যথা ছাড়িয়েছে আয়ুরেখা
সারমেয় কলরবে পেঁচকের কান্না বাধা কিছু নয়
টিক্ টিক্ ঘড়িটির কাঁটা দুটি নিশানা, আরাধ্য
শিবের গীতালী গেয়ে ভুলে থাকা বেদনা 
দোলকের দোলনায় সময়কে সে করে নেয় জয়।


আড়মোড়া দিয়ে রাত কামিনীর গন্ধে বিভোর
বকুলের ঘ্রাণ হয়ে কুয়াশার সর ভাসে বাতাসে
ঝিঁঝিপোকার চিঁহি স্বরে শেয়ালেরা পুলকে মাতে
আকাশের থালা থেকে দুএকটি তারা ছিটে
ধরণীর সীমানায় নিমিষে মিলায় ছড়িয়ে সে বিস্ময়।