বিবরের বাতায়ন খুলে অরণ্য দেখেছি
যোজনে দেখেছি সুখের পদযাত্রা
স্নিগ্ধ সরোবরে পানকৌড়ি সুখ; লুটায় সসীমে
মুগ্ধ বিভাস, মুগ্ধ পথচারী, অনুকূল তীর ঘেঁষে।
সূর্যের স্তিমিত আভা গায় মেখে
লুটায় মাধবী-লতা লম্পট প্রেমিক ডানায় -
আলুথালু সুখের কাব্যিক বিচরণে
আকুতি ঝরে; জন্মান্ধের দৃষ্টি কামনার মত।


মন-উদাসী চৈতী হাওয়ার খণ্ডাংশ ধেয়ে চলে এঁকেবেঁকে
ছন্দ তোলে শিশিরের গায়, হারায় নিঃসীমে।
সীমিত সুখের ভেলা ভাসিয়ে বিহারে
দুঃখ পরিহরি বাঁচি সদা সুখের আসরে
নেই তো ডুব, নেই কোন আশা
অবিরল জলে ভেসে শুধু বেঁচে থাকা।


তীর হতে যারা দেখছে সময়ের ডুব সাঁতার
আমিও উহাদেরই একজন;
সময়কালে দেই নি ডুব, ভাসি নি সুখের নিলয়ে
নিরাপদ দূরে বসবাস, কিছুই আমায় পায় না ছুঁতে
ছন্দ আমার মন্দ গতির তুখোড় বিলক্ষণ
ধরতে তবু ভুল করি না সম্ভোগের আঁচল।
____________________
⭐ কবিতাটি "বাইনারি সুখের পিদিম" (পৃষ্ঠা-৬৫) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।