তোমার খেলার হাঁড়িকুঁড়ি আর পুতুল নিয়ে
ছিল আমার বাঁদরামো য’ত !
ওসব ভেঙে পানিতে ফেলে লুকিয়ে
কত ভাবেই না তোমায় নাজেহাল করেছি!
সব কষ্ট আর অত্যাচার ভুলে দিব্বি তুমি মা-চাচীকে লুকিয়ে
আমার জন্য কত কী এনে দিতে!


রাগ করে একবার তোমার পিঠে লেখার শ্লেট ভেঙে ফেললাম;
চাচীকে অমন মিথ্যেটা বললে কি করে বীথি;
তোমার হাত থেকে পড়েই ওটা ভেঙে গেছে?


কখনো ব্যথায়, কখনো জিদ করে কান্না-কাটি করেছ,
কখন যে সব ভুলে পিছন থেকে এসে আমার চোখ চেপে ধরবে
তা কি আমি কল্পনা করতে পারি?
নীরব ভাষায় জানতে চাইতে; ‘কে তুমি’! ঠিকই বুঝতাম,
ইন্দ্রিয়-গভীরে লুকিয়ে থাকা তোমার চিরচেনা ঘ্রাণ আর  
রেশমি চুড়িই আমায় বলে দি'ত; ওটা বীথি!


তবু মিথ্যে না চেনার ভান করতাম যেন অনেকক্ষণ চোখ ধরে থা’ক।
তোমার ঘ্রাণ আর তুলতুলে হাত দু’টো আমায় যেন মাতাল করে রাখত
তাই তো - তোমার পিছনে আরো বেশি লেগে থাকতাম, খুনসুটি করতাম!


------------------------------
** বন্ধুরা শুভেচ্ছা নিন। কয়েক পর্বে ভাগ করা কবিতাটা বেশ বড়। পাঠকের ধৈর্যের কথা বিবেচনায় ভাগে ভাগে পোস্ট দিচ্ছি। এক একটা পর্ব তার স্বকীয়তা নিয়ে একটা পূর্ণ কবিতা তবে, পরবর্তী পর্বের ধারাবহিকতার শেষে পাবেন দু’টি জীবনের পূর্ণ উপাখ্যান। ধারাবাহিক পর্বগুলো পড়লে পূর্ণ আলেখ্যটি স্পষ্ট হবে। ধন্যবাদ।