জ্বালাতাম বেশি, কান্না করতে তুমি, কপট রাগ দেখাতেন দাদী!
তারপরই, তাম্বুল চির্চিত মুখে তার সুখ-স্বপ্নের কথা বলা;
‘বীথির মা, দু’টিকে দে’খ; যেন মানিকজোড় –
লাগতেও নেই দেরি, ভাব হতেও লাগেনা সময়!
যা'ই ব’ল; দু’টিতে মানাবে ভাল’! চাচী মুখটিপে হাসতেন!
তুমিতো নওই আমিও; সেসব কথার অর্থ বুঝতাম না বড়!


যৌথ পরিবার ছিল, ঘরে সৎমা,
সংসারে নেই তেমন পাত্তা কিছু আমার!
কর্মব্যস্ত বাবা খোঁজ রাখেন সে সময় কোথা তার?


দাদী আগলে রাখতেন আমায়, মনে হয় তুমিও!
সৎমা’র ছেলে হল, দাদীটাও টুপ করে মরে গে’ল,
এবার ছেলের জন্য নতুন মা’র ভাবনা বেড়েছে ভারি।
আমার উপর অত্যাচারের মাত্রা তাই গে’ল বেড়ে।
পালিয়ে এলাম নানীর কাছে। হায়রে কপাল;
দু’বছর না ঘুরতেই নানীও নি’ল বিদায়।


সৎমা’র অত্যাচার তবু মানা যায়, মামীদের অবজ্ঞা - সহ্যের অতীত,
একবস্ত্রে হলেম বিদেয়; চা-মুদির দোকান ঘুরে অবশেষে
ঠাঁই পেলাম চৌধুরী চাচার ঢাকার বাসায়।
------------------------------
** বন্ধুরা শুভেচ্ছা নিন। কয়েক পর্বে ভাগ করা কবিতাটা বেশ বড়। পাঠকের ধৈর্যের কথা বিবেচনায় ভাগে ভাগে পোস্ট দিচ্ছি। এক একটা পর্ব তার স্বকীয়তা নিয়ে একটা পূর্ণ কবিতা তবে, পরবর্তী পর্বের ধারাবহিকতার শেষে পাবেন দু’টি জীবনের পূর্ণ উপাখ্যান। ধারাবাহিক পর্বগুলো পড়লে পূর্ণ আলেখ্যটি স্পষ্ট হবে। ধন্যবাদ।