আসরের নবীন প্রবীণ সকল কবি-বন্ধুর প্রতি অনেক শুভেচ্ছা ও ভালবাসা জানাই।
আমি এই আসরের এক নবীন আগন্তুক – কেবল অক্টোরর ২০১৪-তে ঢুকেছি। ইতোপূর্বে বহু ব্লগ সাইটে শখের লেখালেখি করলেও ২০১২-তে ‘মুক্তমঞ্চ’ নামক কবিতামঞ্চে কবিতা পোস্টের মাধ্যমেই ব্লগ সাইটে কবিতা পোস্ট দেয়ার প্রতি প্রথম আগ্রহ জন্মে। দুঃখজনক হলেও সত্য - এই পাতার আরো অনেক কবির মতই এখন আমিও আর সেই সাইটে কবিতার পোস্ট দিই না। ‘বাংলা-কবিতা’য় নিবন্ধনের প্রথম দিবস থেকেই এই সাইটটির বিষয়ে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠি। নানান আঙ্গিক থেকেই সাইটটি আমার কাছে বেশ ‘ব্যবহার বাৎসল’ ও একটা আদর্শ সাইট বলেই মনে হয়েছে। এই সাইটের কবিদের মধ্যেও এক বিশেষ হৃদ্যতা ও ভালবাসা আমায় বিমুগ্ধ করেছে। সাইট কর্তৃপক্ষ ও আসরের কবি-বন্ধুদের প্রতি আমার অসীম কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসার খামতি নেই। তাই, সবার প্রতি আমার শুভেচ্ছা ও ভালবাসা রইলো।


আমার সৌভাগ্য যে, নিবন্ধিত হয়ে প্রথম কয়েকমাস পাতায় খুব সময় দিতে পেরেছিলাম। তাই, বহু কবির সহস্র লেখার সাথে পরিচিত হয়েছি। ইতোমধ্যে অনেক কবির হৃদয়ের কাছাকাছি পৌঁছার সুযোগও পেয়েছি। এ আমার পরম পাওনা। অতি অল্প সময়ে এই আসরের বহু কবি-বন্ধুর প্রীতি ও ভালবাসায় ধন্য হয়ে কৃতজ্ঞতা স্বরূপ গত ০৬-০১-২০১৫ তারিখে “নৈঃশব্দের ভালবাসা“ নামক এক আনন্দাশ্রু-ভেজা কবিতা লিখে পোস্ট দিই ও বন্ধুদের ব্যাপক সাড়া পাই – সে-ও ছিলো আমার বিশাল প্রাপ্তি। কবিতাটি এত অল্প সময়ে ২৮১বার প্রদর্শিত হয়ে ৭০টি মন্তব্যের বিশেষত্ব ধারণ করে আছে। তা ও কবি-বন্ধুদের ভালবাসারই স্মারক।


দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতায় প্রায় মাসখানেক যাবত আর আগের মত সময় দিতে পারছি না। আসরের প্রতি গভীর ভালবাসার মোহে শত ঝামেলা-ব্যস্ততায়ও দিনে অন্তত দু’একবার পাতায় ঢুঁ দেই বটে তবে, আগের মত আর বেশি বেশি কবিতা পড়তে পারি না। সময় স্বল্পতায় মন্তব্যও রাখতে পারি না (চেষ্টা করি, প্রতিটি মন্তব্যই যেন হয় গঠনমুলক, উপকারী ও সাহিত্যমানের। প্রতিটি কবিতায়ই আমি খুব সময় দিই, কিছু শিখতে চেষ্টা করি, তারপরই কবিতা বিষয়ে নিজের মনের ভাব ও ভালমন্দের বিষয়ে মন্তব্য লিখি)। তাই কবি-বন্ধুদের প্রতি অধমের বিনীত কৈফিয়ত - ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতায় আমার এই অনুপস্থিতিকে বন্ধুরা যেন মার্জনা করেন। আশা রাখি অচিরেই আবার আপনাদের মাঝে নিয়মিত হতে পারবো।


সাবার কাছে দোয়া চাই।
সবাই ভাল থাকুন, কবিতার সাথে থাকুন, নির্মল জীবন গড়ুন।