কবিতা তোমার হেয়ালী মেজাজ, ধিঙ্গি একটি মেয়ে;  
ইচ্ছে হলে নেচে-গেয়ে ভেলায় চেপে যখন-তখন আ’স
মর্জি হলেই যাও পালিয়ে কোথা - আমায় একা রেখে!
যতই মরি ভেবে - মন-মেজাজের পরোয়া নেই বড়,
এমনি খেয়াল তোমার, আর কতকাল চলবে আসা-যাওয়া?


উপাসনায়, ‘বিশ্রামাগার’ কি’বা আধো-ঘুম জাগরণে
ভাবের সুরসুরি জাগিয়ে তুমি শ্যালিকা-বৎ
পালাও সুদূর ঝিলিমিলি তানে কোথা কোন অলকায়?
এ কি তামাশা তোমার ও গো প্রহেলিকা!
ধরতে পারে না টিকি-টি তোমার কলমের সুক্ষ্ণ ডগাও!


যেমন; নব-দূলাভাই – ছোট্ট-স্তাবক শ্যালক-ভক্তের
কানের লতিকা সাফাই ছলে আদর করেই
মলে দেয় তার জোড়া কর্ণমূল; হয়ে উঠে লাল
পেয়ে ব্যথা, লাজে-ভয়ে করে সে হজম -
তেমনি ছলনা বল কত আর হবে গো অধরা দেবী!


শিশুকালে দিদির বয়েসী রাবেয়া প্রেয়সী হলে
একবারই নিয়েছিল বুকে তুলে অধরটি চুমি
সেই সে পরম অমিয় গরম ননীর ছোঁয়া আহা!
ভোলা কি গো যায় কখনো ভ্রমে -
পূর্ণ জীবনে নধর-কান্তি উত্তম-পুরুষ হয়েও!


আলভোলা সময়ের কোন সে নিঠুর দোলায়
দুলি সদা তোমারই ইচ্ছায়, কত খাই ছলা-কলা!
এমনি করে বাড়িয়ে’ছ তুমি বিপুল দেনার বহর
একদিন জে’ন মানতে হবে চরম হার তোমাকেই
কবিতায় হবে সে দিনই তোমার - জনম খবর।