রোদেলা দুপুরের উদ্ভিন্ন যৌবন ছুঁয়ে
স্বেদসিক্ত অম্বরখানি নোনা জলে স্নাত  
তপ্ত বিকেলটিও অপঘাতে ভেসে গেলে
ধৈর্যশীলার বালির বাঁধে ফাঁটল ধরে।
মূঢ়-মুক বোবা বোধে স্বপ্ন গড়ায়
অবিরল জলের ধারায়, আনায়েস লয়ে।

মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে ট্যারিকোটা সুখ।
তখন হিরণ্ময় ছায়া বিবর্ণ বোধের দেয়ালে
আমলকির মায়া ছেড়ে মেঘ হয়ে নেমে এলে –
অনুরাগের মুকুলিত দুরন্ত সুষমায় তৃপ্ত হই
স্খলিত বসন যায় ভিজে, যাক -
অসীমের শূন্য কুম্ভ হাতে বিধি আজো কাঁদে নিরবধি!


বিষণ্ণ বিলাপের ক্লান্ত সমীরণ
ঝিম-ধরা সন্ধ্যায় বেদনার আলোছায়ে
গড়ো যদি চেতনার এক খেলাঘর
আবাহনী গীতে আর না ই জাগে সুর
তবে কেন পাড়ি দিবে পাথারের কূল!
পড়ে থাকে! থাক তবে অবনীর রিক্ত দুপুর।


মেলে ধরে মাঝেমাঝে কবি তা’র কবিতার ডালা
কাঙালের হাতে দিয়ে বলে অসীম আবেগে;
বুঝে নাও - এই বুঝি চেয়েছিলে দিতে আরতি!
হরষে ঘুচিয়ে ফেল যত ছিল অন্তরজ্বালা...
অশ্লেষে চলুক এবার
তোমার আমার নিঃশেষে পথচলা...


ধবল আলোয় আঁকা কালির কাজল;
চেনে প্রতিজন,
সোনালী কাজল ক’জনায় চেনে, আঁধারে মানিক খোঁজে?
অচেনা মৌমাছি ফুল চেনে বেশ
পদ্মহংস মেলে ধরে সলীল চামর...
পড়ে থাকে তবু কিছু সুষমার রেশ।